অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রথম অধ্যায় (1st chapter)|class 8 1st chapter history questions answers| - Studing School

Fresh Topics

Wednesday, March 29, 2023

অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রথম অধ্যায় (1st chapter)|class 8 1st chapter history questions answers|

  অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রথম অধ্যায় (1st chapter)|class 8 1st chapter history questions answers|

 

অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রথম অধ্যায় থেকে সমস্ত প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলো- 


১. ঔরঙ্গজেব মারা যান

A) ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে

B) ১৭৩৯ খ্রিস্টাব্দে

C)  ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে 

D)  ১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে

উত্তর- A) ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে


২. দিল্লির প্রথম মহিলা সুলতান ছিলেন—

A)  নূরজাহান

B) রাজিয়া

C) হজরত বেগম

D) গুলবদন বেগম

উত্তর- B) রাজিয়া


৩. রাজাবলি নামে ইতিহাস বইটি লেখেন—

A)  কালীকৃষ্ণ ন্যায়রত্ন

B) ধনঞ্জয় তর্কবাগীশ

C) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার

 D) জেমস মিল

উত্তর-C) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার


৪. History of British India বইটি লেখেন

A) জেমস মিল।

B)  উইলিয়ম হান্টার

C) জন মার্শাল

D) উইলিয়ম ওয়েডারবার্ন

উত্তর-A) জেমস মিল


৫. জেমস মিলের দৃষ্টিতে ‘অন্ধকারময় যুগ হল—

A)  হিন্দু যুগ

B) মুসলিম যুগ

C)  ব্রিটিশ যুগ

D)  প্রাচীন যুগ

উত্তর-B) মুসলিম যুগ


৬. অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউমের জীবনীকার ছিলেন

A) উইলিয়ম ওয়েডারবার্ন

B) জুডিথ ব্রাউন

C) হেনরি ডিরোজিয়ো

D) জন মার্শাল

উত্তর- A) উইলিয়ম ওয়েডারবার্ন


৭. সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্পষ্ট

A) গণতন্ত্রবাদের

B) সমাজতন্ত্রবাদের

C) উপনিবেশবাদের

D) রাজতন্ত্রবাদের

উত্তর-C) উপনিবেশবাদের


৮. পলাশীর যুদ্ধ হয়েছিলো-

A) ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে

B) ১৭৫৮ খ্রিস্টাব্দে

C) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে

D) ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে

উত্তর-A) ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে


৯. সব দেশের ইতিহাস এক নয়”-একথা বলেছিলেন?

A)  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

B) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

C) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 

D) চে সুনাথ সরকার।

উত্তর-A)  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


১০. ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আফিম রপ্তানি কর

A) আফ্রিকায়

B) চিনে

C) ইংল্যান্ডে

D) জাপানে

উত্তর- B) চিনে



১১.ভারতে ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তির সূচনা হয়েছিল

A) পলাশির যুদ্ধের পর 

B) বিদ্যরার যুদ্ধের পর

C)  ঘর্থবার যুদ্ধের পর

D) বিদারার যুদ্ধের পর

উত্তর- A) পলাশির যুদ্ধের পর 

 

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:


1. প্রাচীন ভারতের কোন সম্রাট কলিঙ্গ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন ?

 উত্তর- প্রাচীন ভারতের মৌর্যসম্রাট অশোক কলিঙ্গ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন।


2. কোন্ দেশের কাপড়ের কলের জন্য বাংলায় নীল চাষ করা হত ?

উত্তর-  ইংল্যান্ডের কাপড়ের কলের জন্য বাংলায় নীল চাষ

করা হত।


3. কোন্ শব্দ থেকে আধুনিক শব্দটি এসেছে ? 

উত্তর-  ‘অধুনা’ শব্দ থেকে আধুনিক শব্দটি এসেছে।


4. অধুনা শব্দটির অর্থ কী ?

উত্তর-  ‘অধুনা' শব্দটির অর্থ সম্প্রতি বা নতুন। 


5. কবে পলাশির যুদ্ধ হয়েছিল ?

উত্তর- ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশির যুদ্ধ হয়েছিল।


6. পলাশির যুদ্ধকে কোন্ যুগের অন্তর্ভুক্ত করা হয় ?

 উত্তর- পলাশির যুদ্ধকে আধুনিক যুগের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।


7. কবে ঔরঙ্গজেব মারা যান ?

উত্তর- ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেব মারা যান।


৪. ইলতুৎমিস কাকে দিল্লির শাসনভারের জন্য নির্বাচন

করেন ?

 উত্তর-  নিজ কন্যা রাজিয়াকে ইলতুৎমিস দিল্লির শাসন

ভারের জন্য নির্বাচন করেন।


9. ভারত বিভাজন কবে ঘটেছিল ?

উত্তর-  ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত বিভাজন ঘটেছিল।


10. রাজাবলি নামে ইতিহাস বইটি কে লেখেন ? 

উত্তর- রাজাবলি নামে ইতিহাস বইটি লেখেন মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার।


11. কবে রাজাবলি ইতিহাস বইটি লেখা হয়েছিল ?

 উত্তর- ১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে রাজাবলি ইতিহাস বইটি লেখা হয়েছিল।


12. History of British India গ্রন্থটি কে রচনা

করেন ? 

উত্তর-  ব্রিটিশ ঐতিহাসিক জেমস মিল History of British India গ্রন্থটি রচনা করেন।


13. কবে History of British India বইটি লেখা হয়েছিল ?

উত্তর-  ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে History of British India বইটি লেখা হয়েছিল।


14. জেমস মিল কোন্ যুগকে ‘অন্ধকারময় যুগ’ বলেছেন ?

উত্তর-  জেমস মিল মধ্যযুগকে ‘অন্ধকারময় যুগ' বলেছেন।


15. চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য কোন্ ধর্মাবলম্বী ছিলেন ? 

উত্তর- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য জৈন ধর্মাবলম্বী ছিলেন।


16. বিম্বিসার কোন্ ধর্মাবলম্বী ছিলেন ?

উত্তর-  বিম্বিসার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছিলেন।


17. জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা কে ?

উত্তর-  জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা হলেন অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম।


18. হিউমের জীবনী কে রচনা করেন ?

উত্তর-  উইলিয়ম ওয়েডারবার্ন হিউমের জীবনী রচনা করেন।


সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন- উত্তর:


1. ভারতের আধুনিক যুগের যে-কোনো দুটি গুরুত্ব পূর্ণ ঘটনা উল্লেখ করো।

 উত্তর ভারতের আধুনিক যুগের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল (i)১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের পলাশির যুদ্ধ ও (ii) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষের বিভাজন।


2. রাজাবলি নামক ইতিহাস বইতে কোন সময়ের কথা রয়েছে?

উত্তর- ১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার রচিত রাজাবলি নামক গ্রন্থটি রচনা করেন। রাজাবলিতে মহাভারতের রাজা যুধিষ্ঠিরের কাল থেকে 'কলিযুগ' পর্যন্ত সময়ের কথা রয়েছে।


3. কে, কবে History of British India নামে গ্রন্থটি লিখেছেন ?

 উত্তর-  ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ঐতিহাসিক জেমস মিল History of British India নামে গ্রন্থটি লিখেছেন।


4. জেমস মিল তাঁর বইতে ভারতের ইতিহাসকে ক-টি ভাগে ভাগ করেন এবং কী কী ?

উত্তর-  জেমস মিল তাঁর বইতে ভারতের ইতিহাসকে তিনটি ভাগে ভাগ করেন; সেগুলি হল— i) হিন্দু যুগ ii) মুসলিম যুগ iii) ব্রিটিশ যুগ।


5. ভারতের আধুনিককালের ইতিহাসের দুটি উপাদানের নাম লেখো ।


উত্তর-  ভারতের আধুনিককালের ইতিহাসের দুটি উপাদান হল -i)  প্রশাসনিক কাগজপত্র (ii) সংবাদপত্র ।


6. কে, কবে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন ?

উত্তর-  ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে মুম্বাইয়ে অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম ভারতের জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন।


7. উপনিবেশবাদের মূলকথা কী ?

উত্তর-  উপনিবেশবাদ হল সাম্রাজ্যবাদের পরিপূরক। উপনিবেশবাদের মূলকথা হল— একটি অঞ্চলের জনগণ ও সম্পদকে কোনো একটি শক্তিশালী দেশ নিজের দেশের স্বার্থে ব্যবহার করে।


8. জাতীয়তাবাদী ইতিহাস বলতে কী বোঝায় ?


উত্তর-  দেশের মানুষ যখন দেশের ইতিহাস লেখেন তখন বিভিন্ন ঘটনার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ সাম্রাজ্যবাদের বিপরীতে উপস্থাপিত হয়। একেই জাতীয়তাবাদী ইতিহাস বলা হয়।


9.  ব্রিটিশ সরকার অভিহিত যে-কোনো দুটি হাঙ্গামার নাম লেখো।

উত্তর, ব্রিটিশ সরকার অভিহিত দুটি হাঙ্গামা হল— (i) তিতুমিরের বারাসাত বিদ্রোহ ( ii) সিধু-কানহুর সাঁওতাল বিদ্রোহ।


10.  কোন্ দুটি অধিবেশনে সুভাষচন্দ্র বসু জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মনোনীত হন ?

উত্তর- ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দের হরিপুরা এবং ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ত্রিপুরি অধিবেশনে সুভাষচন্দ্র বসু ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মনোনীত হন।


11. সাম্রাজ্যবাদ বলতে কি বোঝায়?

উত্তর-  সাম্রাজ্যবাদ হল এমন একটি প্রক্রিয়া যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী দেশ তার তুলনায় দুর্বল আর-একটি দেশের ওপর প্রভুত্ব কায়েম করে তাকে নিজের দখলে আনে। ওই দুর্বল দেশের তখন জনগণ, ধনসম্পদ প্রভৃতি শক্তিমান দেশটি নিজের প্রয়োজনমতো বিপর পরিচালনা করে। এই প্রক্রিয়া সাম্রাজ্যবাদ নামে পরিচিত।


বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন- উত্তর: 

 

1.ভারত ইতিহাসের যুগবিভাগ বলতে কী বোঝায় ?


উত্তর - ভারত ইতিহাসের যুগবিভাগ: সভ্যতার সূচনাকাল থেকে ভারতবর্ষে নানা পরিবর্তনের ঘটনা দেখা যায়। এই পরিবর্তন খুবই ধীরগতিতে ঘটে থাকে। পূর্বের মানুষের কাজকর্ম, বেঁচে থাকার তাগিদ, সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক জীবন, শাসননীতি, যুদ্ধ, সাহিত্য, সংস্কৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে ক্রম পরিবর্তন ও ক্রম উন্নতি ঘটে। এই এক অবস্থা থেকে আর এক অবস্থার মধ্যে প্রাচীর না তুলে কতকগুলি বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে ভারতের দীর্ঘ সময়কালকে ঐতিহাসিকগণ এক-একটি যুগে ভাগ করেছেন। তাঁদের হিসেব অনুযায়ী ভারতের ইতিহাসের সময়কাল তিনটি ভাগে বিভক্ত। যথা—প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগ ।


 2.  আধুনিক যুগের ইতিহাসের উপাদানরূপে ফোটোগ্রাফের ভূমিকা লেখো ।


উত্তর- ফোটোগ্রাফের ভূমিকা: আধুনিক যুগের কোনো বিষয়ে প্রত্যক্ষ জানার অন্যতম প্রধান উপাদান হল ক্যামেরায় তোলা ছবি বা ফোটোগ্রাফ। এইরকম ছবির সংগ্রহ থেকে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের নানা কথা জানা যায়। কোনো ঘটনাকে প্রমাণিত করার ক্ষেত্রে ফোটোগ্রাফের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে ফোটোগ্রাফের কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে, যেমন—


 যিনি ছবি তুলেছেন; তাঁর দেখার ওপরেই ক্যামেরা বা ফোটোগ্রাফের দেখা নির্ভর করে।


 3. আত্মজীবনী ইতিহাসের উপাদানরূপে কতটা গ্রহণযোগ্য ?

উত্তর- আত্মজীবনীর গ্রহণযোগ্যতা: ইতিহাসের উপাদানরূপে আত্মজীবনী একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ইতিহাস রচনায় সরাসরি আত্মজীবনী ব্যবহার করলে ইতিহাস বিকৃত হতে পারে। কারণ— যিনি আত্মজীবনী লিখেছেন, তিনি তাঁর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও বিচারধারা অনুযায়ী ঘটনার ব্যাখ্যা করেছেন। (ii) ঐতিহাসিকগণ রচয়িতার ব্যাখ্যা বিচার না করেই যদি তা ইতিহাসে তথ্য হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে বক্তব্য পক্ষপাতমূলক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


সুতরাং, ইতিহাস রচনার অন্যান্য উপাদানকে ঐতিহাসিকগণ যেমন বিচার-বিশ্লেষণ করে থাকেন, তেমন আত্মজীবনীকেও বিভিন্ন দিক থেকে বিচার-বিশ্লেষণ করে ব্যাখ্যা করে থাকেন। যেমন মধ্যযুগে মোগল সম্রাট বাবরের তুজুক-ই-বাবরী এবং জাহাঙ্গিরের তুজুক-ই-জাহাঙ্গিরী ইতিহাসের উপাদানরূপে গ্রহণযোগ্য।


ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন উত্তর-


1.  ভারতবর্ষের ইতিহাস রচনা প্রসঙ্গে ঠাকুর ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করো। এ সম্পর্কে তোমার মত কী?


উত্তর-  ভারতবর্ষের ইতিহাস রচনা প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের তুলনামূলক বিশ্লেষণ: 

ভারতবর্ষের ইতিহাস প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, "ইতিহাস পড়া ও মুখস্থ করা ভারতবর্ষের নিশীথকালের একটা দুঃস্বপ্নকাহিনিমাত্র আমাদের দেশে কত বিদেশি এসেছে, সিংহাসন নিয়ে লড়াই হয়েছে। একদল চলে যাওয়ার পর আরও একদল এসেছে। এদের ইতিহাস আমরা জানতে চিত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | পারি বিদেশি ইতিহাসবিদদের রচনা থেকে। তাই তাঁর সেই ইতিহাস পছন্দ নয়, যে ইতিহাসে। বিদেশিরা এসে শুধু মারামারি, কাটাকাটি করে এবং বাবা-ছেলে, ভাই-ভাই সিংহাসন নিয়ে টানাটানি করে। তিনি মনে করেন। তাঁরাই ভাগ্যবান যারা স্বদেশকে ইতিহাসের মধ্যে খুঁজে পায়। ইতিহাস নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোনো সমস্যা নেই, তিনি প্রশ্ন তুলেছেন ইতিহাসের বিষয়বস্তু নিয়ে। তাঁর মতে, ভারতের ইতিহাস ভারতীয়দের লিখতে হবে। তবেই সেটা হবে প্রকৃত ইতিহাস অন্যদিকে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ঠিক একই মত পোষণ করেছেন। তাঁর মতে, 'বাঙালির ইতিহাস চাই'। বাঙালি জাতির অতীতের কথা বাঙালিকেই। জানতে হবে। না জানলে আর রক্ষা নেই। তাই এই ইতিহাস বাঙালিরাই রচনা করবে। বিদেশিদের লেখা বাঙালির ইতিহাস ভুলে ভরা। তিনি আরও বলেছেন আমি, তুমি, যে পারবে সবাই এই ইতিহাস লিখতে পারে।


উভয়ের বক্তব্যের মধ্যে একটা ইতিবাচক মিল রয়েছে। প্রত্যেক দেশের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। সুতরাং, ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিকরা যদি ভারতবর্ষের ইতিহাস লিখতে যান তা কখনোই সঠিক ইতিহাস হবে না। তাই ইতিহাস নিয়ে তর্কবিতর্ক হয় বেশি। এই বিতর্কের মধ্য থেকেই আসল ইতিহাস বেরিয়ে আসে। সুতরাং, এক্ষেত্রেও উভয় পণ্ডিতের মধ্যে মিল লক্ষ করা যায়। 

আমার মতে, আমরা সবাই ইতিহাস লিখব এই কথাটা

সবক্ষেত্রে প্রযুক্ত হবে না। 


2. ভারতের আধুনিককালের ইতিহাসের উপাদান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।


উত্তর-  ভারতের আধুনিককালের ইতিহাসের উপাদান: 

যে সমস্ত তথ্য ও সূত্রকে অবলম্বন করে ভারতের তিহাস রচনা করা হয় তা আধুনিককালের ইতিহাসের উপাদান নামে অভিহিত। সারা বিশ্বজুড়ে আধুনিক সময়ের ইতিহাস লখার উপাদানের বৈচিত্র্য অনেক বেশি। ভারতের ইতিহাসও তার ব্যতিক্রম নয়।


 ইতিহাসের উপাদান: 

আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদানের মধ্যে প্রশাসনিক গগজপত্র, বই, ডায়ারি, চিঠি, জমি বিক্রির দলিল, রোজকার জিারের ফর্দ, ফোটোগ্রাফ বা ছবি, পোস্টার, সংবাদপত্র, বজ্ঞাপন প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। তবে ইসব বিভিন্ন উপাদান বিভিন্নভাবে অতি সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হয়।


আত্মজীবনী:

 ইতিহাসের উপাদানরূপে আত্মজীবনী একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যিনি আত্মজীবনী লিখেছেন, তিনি তাঁর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও বিচারধারা অনুযায়ী ঘটনার ব্যাখ্যা করেছেন। ঐতিহাসিকগণ রচয়িতার ব্যাখ্যা বিচার করে তবেই চা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করেন।


 ফোটোগ্রাফ : 

ইতিহাসের আধুনিক যুগের কোনো বিষয় জানার অন্যতম প্রধান উপাদান ফোটোগ্রাফ বা ক্যামেরায় তোলা বি। এইরকম ছবির সংগ্রহ থেকে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও াজনৈতিক ইতিহাসের নানা তথ্য জানা যায়।


 প্রশাসনিক কাগজপত্র:

 আধুনিক ভারতের ইতিহাস চনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল প্রশাসনিক কাগজপত্র। শাসনিক দলিল-দস্তাবেজ থেকে প্রশাসনের আইনকানুন, দনন্দিন কাজকর্ম ও কর্মসূচি তথা সরকারের ভূমিকা সম্পর্কে ানা কথা জানা যায়।


 সংবাদপত্র: 

ইতিহাস রচনার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল সংবাদপত্র। 



No comments:

Post a Comment