দিল্লী সুলতানী সপ্তম শ্রেণীর চতুর্থ অধ্যায় | Class 7 4th chapter history questions answers | - Studing School

Fresh Topics

Sunday, April 2, 2023

দিল্লী সুলতানী সপ্তম শ্রেণীর চতুর্থ অধ্যায় | Class 7 4th chapter history questions answers |

দিল্লী সুলতানী সপ্তম শ্রেণীর চতুর্থ অধ্যায় | Class 7 4th chapter history questions answers |




1. ভারতবর্ষের প্রথম মোগল বাদশাহ কে ছিলেন ?

উ:- বাবর

2.জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবর ‘বাবর’ শব্দের অর্থ কী

উ:- বাঘ/সিংহ

3.বাবরের আত্মজীবনীর নাম কী? ‘

উ:- বাবরনামা’

4.মোগলরা সার্বভৌম শাসক হিসেবে কোন শব্দটি ব্যবহার করত?

উ:- বাদশাহ/পাদশাহ

5.খ্রিস্টাব্দে মোগল সাম্রাজ্য কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

উ:-১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে

6.খানুয়ার যুদ্ধে বাবরের প্রতিপক্ষ কে ছিলেন?

উ:- মেবারের রানা

7.সংগ্রাম সিংহ নসরৎ শাহ কোথাকার শাসক ছিলেন?

উ:- বাংলার

8.হুমায়ুন কথার অর্থ কী?

উ:- সৌভাগ্যবান

9.চোসার যুদ্ধে (১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দ) কে পরাজিত হয়েছিলেন?

উ:- হুমায়ুন

10.দিল্লিতে শূর বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?

উ:- শেরশাহ

11.শের খানের প্রকৃত নাম কী ?

উ:- ফরিদ খা

12.শেরশাহ দিল্লিতে কত বছর রাজত্ব করেছিলেন?

উ:- পাঁচ বছর (১৫৪০-১৫৪৫ খ্রিস্টাব্দ)

13.সড়ক-ই-আজম’ কে নির্মাণ করেছিলেন?

উ:- শেরশাহ।

14.কে ঘোড়ার মাধ্যমে ডাক যোগাযোগ ব্যবস্থার সূচনা করেছিলেন?

উ:- শেরশাহ।

15.দিল্লির পুরোনো কেল্লা কে নির্মাণ করেন?

উ:- শেরশাহ

16.শেরশাহের রুপোর মুদ্রাকে কী বলা হয়?

উ:- রুপি আকবর

17.ব্লগ্নজিৎ গৌড় কে ছিলেন?

উ:- শেরশাহের সেনাপতি

18.আকবরের অভিভাবক কে ছিলেন?

উ:- আবদুল রহিম খান

19.হিমু বা হেমচন্দ্র পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধ কবে হয়েছিল?

উ:- ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে আকবর মেবারের রানা প্রতাপ সিংহ।

20.হলদিঘাটির যুদ্ধ কবে হয়েছিল?

উ:- ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে

21.মানসিংহ মেবারের রাজধানী কোথায় ছিল?

উ:- চিতরো

22.আকবরের রাজসভার বিশিষ্ট মানুষদের মধ্যে ন-জনকে একত্রে কী বলা হত ?

উ:- নবরত্ন

23.বীরবল-এর প্রকৃত নাম কী?

উ:- মহেশ দাস

24.বীরবল কে ছিলেন?

উ:- আকবরের রাজসভায় হাস্যরসিক “

25.আকবরের জোনাথান কাকে বলা হত?

উ:- আবুল ফজল আল্লামকে ‘

26.আকবরনামা' কে রচনা করেন?

উ:- আবুল ফজল আল্লামি ‘

27.হুমায়ুননামা' কে রচনা করেন?

উ:- বাবর কন্যা গুলবদন বেগম ‘

28.পাদশাহনামা' কে রচনা করেন?

উ:- আবদুল হামিদ

29.লাহোরি ‘শাহজাহাননামা' কে রচনা করেন?

উ:- এনায়েত খান ‘

30.তুজুক-ই-জাহাঙ্গিরি’ কে রচনা করেন?

উ:- জাহাঙ্গির

31.ক্যাপ্টনে হকিন্স  আকবরের মৃত্যু কবে হয়েছিল?

উ:- ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দে

32.প্রতাপাদিত্য কে ছিলেন?

উ:- বাংলার একজন হিন্দু জমিদার

33.মিয়া তানসেন কে ছিলেন?

উ:- আকবরের দরবারী সঙ্গীতজ্ঞ

34.তানসেনের প্রকৃত নাম কী ?

উ:- রামতনু পান্ডে

35.নূরজাহান কে ছিলেন?

উ:- জাহাঙ্গিরের প্রিয়তমা পত্নী

36.নূরজাহানের পূর্বনাম কী ছিল?

উ:- মেহেরুন নেসা

37.মেহে্রুননেসা পূর্বনাম কী ছিল?

উ:- খুররম

38.নূরজাহান কথার অর্থ কী?

উ:- জগতের আলো

39.আলমগীর উপাধি কে ধারণ করেন?

উ:- ঔরঙ্গজেব   

40.জিন্দাপির নামে পরিচিত ছিলেন?  

উ:- ঔরঙ্গজেব

41.সুনামি বিদ্রোহ কোথায় হয়েছিল?

উ:- হরিয়ানায়।

42.শায়েস্তা খাঁ কে ছিলেন?

উ:- ঔরঙ্গজেবের সেনাপতি

43.বাবা মা মোগলরা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কাদেরকে বিতাড়িত করে

উ:- পোর্তুগিজ জলদস্যুদের

44.রাজা জয়সিংহ কোথাকার রাজা ছিলেন?

উ:- অম্বরের

45.আকবরের শেষ রাজ্যজয় কোনটি?

উ:- অসিরগড় দুর্গ

46.মালিক 'অম্বর কোন রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন?

উ:- আহম্মদনগর রাজ্যের  

47.ঔরঙ্গজেবের সময় মোট কতকগুলি সুব্য ছিল?  

উ:- ২১টি

48.ছত্রপতি উপাধি কে গ্রহণ করেছিলেন?

উ:-শিবাজি 

49.গো-ব্রাহ্ণ পালক’ কার উপাধি?

উ:- শিবাজির

50.শিবাজিকে ‘রাজা’ উপাধি কে দিয়েছিলেন?

উ:- ঔরঙ্গজেব

51.ঔরঙ্গজেবের মৃত্যু কবে হয়েছিল?

উ:-১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে

52.দীন-ই-কে প্রবর্তন করেন?

উ:- আকবর

53.মোগল আমলে প্রদেশগুলিকে কী বলা হত

উ:- সুবা

54.আকবরের আমলে মোট ক-টি সুবা ছিল?

উ:- ১৫ টি

55.মনসব কথাটির অর্থ কী?

উ:- পদমর্যাদা

56.মনসব পদাধিকারীকে কী বলা হত?

উ:- মনসবদার


৩। সংক্ষেপে (৩০-৫০ টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও:

(ক) দিল্লির সুলতানদের কখন খলিফাদের অনুমোদন দরকার হতো?

উত্তর: ইলতুৎমিশ খলিফাদের থেকে অনুমোদন পান ১২২৯ খ্রিস্টাব্দে। মোহাম্মদ বিন তুঘলক তার আমলে প্রথম মুদ্রায় খলিফার নাম খোদাই করা বন্ধ করে দেন। কিন্তু একসময় ইলতুৎমিস কে যখন কেউই দিল্লির সুলতান বলে মেনে নেয় না তখন ইলতুৎমিস নিজের অধিকার বজায় রাখার জন্য খলিফার অনুমোদন প্রার্থনা করেন। খলিফার কাছে নানা উপহার পাঠান।

(খ) সুলতান ইলতুৎমিশের সামনে প্রধান তিনটি সমস্যা কী ছিল?

উত্তর: প্রথমত, কিভাবে সাম্রাজ্যের মধ্যে বিদ্রোহী শক্তিকে সহজেই দমন করা যাবে। দ্বিতীয়ত, কিভাবে মধ্য এশিয়ার এক দুর্ধর্ষ মোঙ্গল শক্তিকে মোকাবেলা করা যাবে। তৃতীয়তঃ কিভাবে সুলতানিতে একটি রাজবংশ তৈরি করা যাবে যাতে ইলতুৎমিশের মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকারী সহজেই কোনো গোলমাল ছাড়া সিংহাসনে বসতে পারে। এগুলি ছিল সুলতান ইলতুৎমিশের সামনে প্রধান সমস্যা।

(গ) কারা ছিল সুলতান রাজিয়ার সমর্থক? কারা ছিল তার বিরোধী?

উত্তর: রাজিয়ার সমর্থকরা ছিলেন সেনাবাহিনী, দিল্লির সাধারণ লোক এবং অভিজাতদের একাংশ।

তুর্কি অভিজাতরা মনে করতেন রাজিয়া অতুর্কি অভিজাত দের বেশি গুরুত্ব দিতেন। তাই তুর্কি অভিজাতরা গোঁড়া থেকেই তার বিরোধী ছিলেন। এছাড়া রাজপুত শক্তিও তার শাসনের বিরোধী ছিল।

(ঘ) আলাউদ্দিন খলজি কীভাবে মোঙ্গল আক্রমণের মোকাবিলা করেন?

উত্তর: আলাউদ্দিন খলজির সময়ে দিল্লি দুবার আক্রান্ত হয়। তখন সুলতান আক্রমণ ঠেকানোর জন্য বিরাট সৈন্য বাহিনী গড়ে তোলেন। সৈনিকদের থাকার জন্য সিরি নামে একটি শহর তৈরি করেন। সেই সময় মঙ্গল জাতিরা সাংঘাতিক দুর্ধর্ষ ছিলেন। তাই দুর্গ নির্মাণ, সৈন্য সংগ্রহ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে সফলভাবে মোঙ্গল আক্রমণের মোকাবেলা করেন।

(ড) ইলিয়াসশাহি এবং হোসেনশাহি আমলে বাংলার সংস্কৃতির পরিচয় দাও।

উত্তর: ইলিয়াস শাহী এবং হোসেন শাহী আমলে সংস্কৃতির বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছিল। এদের সময়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য স্থাপত্য, প্রভৃতি বিষয়ের উন্নতি ঘটেছিল। এই সময়ে সুলতানদের অন্য ধর্ম মতে বিশ্বাসী মনোভাব বা তাদের ধর্মীয় উদারতা বাংলার সব ধর্মের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বা একে অপরের সঙ্গে মিলিত হওয়ার মনোভাব গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিল।


৪। বিশদে (১০০-১২০ টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও:

(ক) ৪.২ মানচিত্র থেকে আলাউদ্দিন খলজির দাক্ষিণাত্য অভিযানের বিবরণ দাও।

উত্তর: ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে বারবার অভিযান কারীরা ভারতে এসেছে। মোঙ্গল নেতা চেঙ্গিস খান ঝড়ের গতিতে যে অভিযান চালান তার সামনে বাকি রাষ্ট্রগুলি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। আলাউদ্দিন খলজির সময়ে তাদের দ্বারা দিল্লি দুবার আক্রান্ত হয়। আলাউদ্দিন পাঞ্জাব দিল্লী অভিযান করেন। তারপর তিনি চিতোর রণতম্বর ও কারা অভিযান করেন। তাতেও তিনি ক্ষান্ত হননি। এরপর তিনি গুজরাট জয় করে ১৩০৫ খ্রিস্টাব্দে মান্দু জয় করেন। তিনি মাদুরাই লাক্ষাদ্বীপ জয় করেন। তার অভিযান এত দূর প্রসারিত হয়েছিল যে তিনি দক্ষিণ ভারতের তাঞ্জোর পান্ড পর্যন্ত জয় করেন। তিনি কাকতীয় হোয়সেল অঞ্চলকেও বাদ দেননি। তিনি ছিলেন দুর্ধর্ষ। তাই তার অভিযানও ছিল দুর্ধর্ষ। তার অভিযানেও কোন দেশ বাদ ছিল না। এভাবে তিনি দাক্ষিণাত্য অভিযানে সফল হয়েছিলেন।

(খ) দিল্লির সুলতানদের সঙ্গে তাদের অভিজাতদের কেমন সম্বন্ধ ছিল তা লেখো।

উত্তর: যে সুলতান যত ভাল ভাবে সবদিক সামলাতে পারতেন, তার শাসন ততো বেশিদিন টিকতো। তবে গিয়াস উদ্দিন বলবনের সময় থেকে সুলতানের ক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে মর্যাদাও বাড়তে থাকে। সুলতানরা এতটাই ক্ষমতার অধিকারী ছিল যে তাদের ওপর কেউ কথা বলতে পারতো না। সুলতান কে নিয়ে যদি কেউ বিরোধ প্রকাশ করত তাহলে তাদের শাস্তি পেতে হতো। আলাউদ্দিন খলজির সময়ে অভিজাতদের কড়া হাতে দমন করা হতো। কিন্তু যদি কোনভাবে সুলতানদের শাসন আলগা হয়ে যেতো তাহলে অভিজাতদের ক্ষমতা বেড়ে যেত।

সুলতানরা যেমন অভিজাতকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন তেমনি সময় বা সুযোগ পেলে অভিজাতরাও সুলতানদের মান্য করতো না। এছাড়াও অভিজাত ছাড়াও উলেমাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলতেন সুলতানরা। সুলতানদের পরামর্শ দিত উলেমা। হিন্দু মুসলমান সবাই ছিল মুসলমানদের প্রজা।

(গ) ইকতা কী? কেন সুলতানরা ইকতা ব্যবস্থা চালু করেছিলেন?

উত্তর: দিল্লির সুলতানরা সাম্রাজ্যের আয়তন ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছেন। নতুন অধিকার করা অঞ্চল থেকে রাজস্ব আদায় করার দরকার ছিল এবং সেখানকার শান্তি বজায় রাখার দায়িত্ব তাদের ছিল। সুলতানরা যেসব রাজ্যগুলির জয় করলেন বা অধিকার করলেন সেইসব রাজ্যগুলিকে একটি প্রদেশের মত ধরে নেওয়া হল। এসব প্রদেশ কে বলা হতো ইকতা। এই ইকতার দায়িত্ব নিয়ে থাকতেন একজন সামরিক নেতা। তাকে বলা হতো ইকতাদার। ইকতাগুলিকে ছোট ও বড় এই দুই ভাগে ভাগ করে নেওয়া হতো। বড়ই ইকতাগুলির দায়িত্ব পালনের জন্য যারা থাকতেন তাদের শুধু সামরিক দায়িত্ব পালন করতে হতো না, প্রশাসনিক দায়িত্বও তাদের পালন করতে হতো। ছোট ইকতাদারগণ শুধুমাত্র সামরিক দায়িত্ব পালন করতেন। সৈন্য বাহিনীর দেখাশোনা করা, বাড়তি রাজস্ব সুলতানদের দেওয়া, দেশের শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখা এসব দায়িত্ব বড় ইকতা দরদের ওপর থাকতো। এসব ইকতাদার সম্পূর্ণ হবে সুলতানদের নিয়ন্ত্রণে ছিলেন।


(ঘ) আলাউদ্দিন খলজির সময় দিল্লির বাজার দর নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে তোমার মতামত লেখো।

উত্তর: আলাউদ্দিনের সময় দিল্লির বাজারদর নিয়ন্ত্রণ সুলতানের হাতে যথেষ্ট ছিল। আলাউদ্দিন পুরোপুরি একটি বিরাট সৈন্যদল গঠন করেন এবং সমস্ত সৈন্যদের বেতন নির্দিষ্ট করে দেন। তিনি বাজারের সমস্ত জিনিসের দর নির্দিষ্ট করে দেন। তিনি বাজারদর দেখাশোনা করার জন্য ‘শাহানা ই মান্দি’ ও ‘দেওয়ান ই রিয়াসৎ’ নামে দুই রাজ কর্মচারী নিয়োগ করেন। আমার মতে একটি ভালো বিষয়। এছাড়া সুলতানের ঠিক করা দামের চেয়ে কোন বিক্রেতা দাম বেশি নিলে এবং ক্রেতাকে ঠকালে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা ছিল। আমার মতে এটিও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

আলাউদ্দিন সাধারন মানুষের সুবিধার্থে রেশন ব্যবস্থা চালু করেন। প্রজাটা যাতে সঠিক সময়ে খাদ্যশস্য ও দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস পেতে পারে তাই সুলতানরা সবসময় তা তাদের কাছে মজুদ রাখতেন। তাদের সঠিক সময় প্রয়োজনীয় জিনিস যোগান দিতে সুলতান খুবই দায়িত্বশীল ছিলেন। আমি মনে করি সুলতান ঠিকভাবেই বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করতেন।

(ঙ) বিজয়নগর ও দাক্ষিণাত্যের সুলতানী রাজ্য গুলির মধ্যে সংঘর্ষকে তুমি কি একটি ধর্মীয় লড়াই বলবে? তোমার যুক্তি দাও।

উত্তর: বিজয়নগর ও দাক্ষিণাত্যের সুলতানি রাজ্যগুলির সঙ্গে সংঘর্ষ একটি ধর্মীয় লড়াই বলে আমি মনে করিনা। কারণ ধর্ম নিয়ে লড়াই সুলতানি রাজাদের সঙ্গে বিজয় নগরের রাজাদের হয়নি। দাক্ষিণাত্য অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আলাউদ্দিন খলজির সেনাপতি মালিক কাফুর। নদী সুলতানদের শাসনকালে সুলতানদের ক্ষমতা কিছু বেড়েছিল। আলাউদ্দিন হোসেন শাহ ছিলেন মধ্যযুগের বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ শাসক। বিজয় নগরের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন তুলুব বংশের কৃষ্ণদেব রায়। তার রাজত্বকালে বিজয়নগরের গৌরব চূড়ান্ত শিখরে উঠেছিল। কৃষ্ণদেব রায়ের মৃত্যুর পর তুলুব বংশের রাজত্বকালেই বিজয়নগরের সঙ্গে সুলতানদের বিরোধ বাঁধে। এই যুদ্ধে বিজয়নগর পরাজিত হয়।

বিজয়নগর ও সুলতান রাজ্যগুলি প্রথম থেকেই একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা একটানা লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রধানত রাজনৈতিক, সামরিক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার জন্য এই লড়াই হয়েছিল।













No comments:

Post a Comment