পৃথিবীর অন্দরমহল অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায়|class 8 geography 1st chapter|
- গুরুমণ্ডল স্তরটি ভূপৃষ্ঠ থেকে _________ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। (শূন্যস্থান পূরন করো)
Ans. 2900 গ্রাম/ঘন সেমি
- কোন্ দেশ পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে বেশি ভূ-তাপ শক্তি উৎপাদন করে? (এক কথায় উত্তর দাও)
Ans. আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র।
- ভূ-ত্বকে পদার্থের গড় ঘনত্ব 2.6-3.3 গ্রাম ঘন সেমি। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. সত্য
- গুরুমণ্ডলের কটি অংশ ও কী কী? (এক কথায় উত্তর দাও)
Ans. দুটি অংশ— (A) নিফেসিমা ও (b) ক্রোফেসিমা।
- ভূ-ত্বকের গভীরতা মহাদেশগুলিতে বেশি হেগলি কলেজিয়েট স্কুল। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. সত্য
- গুরুমণ্ডলের আনুমানিক উন্নতা প্রায় 5000°সে। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. মিথ্যা
- গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডলের মাঝে আছে লেহম্যান বিযুক্তিরেখা। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. মিথ্যা
- ভূগর্ভের গলিত উত্তপ্ত পদার্থ ভূগর্ভের ভিতরে থাকলে ম্যাগমা এবং বাইরে বেরিয়ে আসলে লাভা নামে পরিচিত হয়। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. সত্য
- সিয়াল স্তরটি সিলিকন ও ম্যাগনেশিয়াম দিয়ে তৈরি। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. মিথ্যা
- আগামিদিনে ভারত প্রায় 10,000 মেগাওয়াট ভূ-তাপীয় শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতা রাখে । (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. সত্য
- কোন্ শিলায় প্রধানত মহাদেশীয় ভূত্বক তৈরি হয়? (এক কথায় উত্তর দাও)
Ans. গ্রানাইট।
- S তরঙ্গ তরল ও অর্ধ-তরল মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. মিথ্যা
- ভূত্বকীয় পাতগুলি গড়ে _________ কিমি পুরু। (শূন্যস্থান পূরন করো)
Ans. 70-150
- শীতপ্রধান দেশে বাড়িঘর উষ্ণ রাখতে বায়ুশক্তি ব্যবহৃত হয়। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. মিথ্যা
- গুরুমণ্ডল কোন্ কোন্ উপাদান দিয়ে তৈরি? (এক কথায় উত্তর দাও)
Ans. লোহা, নিকেল, ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং সিলিকন।
- ভূ-ত্বকের নীচের স্তর ব্যাসল্ট ও ওপরের স্তর হালকা গ্রানাইট শিলায় গঠিত। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. সত্য
- শিলামণ্ডলের গভীরতা কত? (এক কথায় উত্তর দাও)
Ans. 100 কিমি।
- কেন্দ্রমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা সূর্যের পৃষ্ঠদেশের তাপমাত্রার চেয়ে বেশি। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. মিথ্যা
- পশ্চিমবঙ্গের কোথায় উষ্ণ প্রস্রবণ আছে? (এক কথায় উত্তর দাও)
Ans. বক্রেশ্বরে
- পৃথিবীর চৌম্বকত্ব সৃষ্টিকারী ভূঅভ্যন্তরের স্তর কোনটি? (এক কথায় উত্তর দাও)
Ans. কেন্দ্রমণ্ডল।
- কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী সামগ্রিকভাবে পৃথিবীর গড় ঘনত্ব 3.3 গ্রাম/ঘন সেমি। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. মিথ্যা
- সিয়াল স্তরটি মূলত গ্রানাইট জাতীয় আগ্নেয় শিলা দিয়ে গঠিত। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. সত্য
- কোর (core) বলতে আসলে কেন্দ্রমণ্ডলকেই বোঝায়। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. সত্য
- গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডলের মাঝে রয়েছে _________ বিযুক্তিরেখা। (শূন্যস্থান পূরন করো)
Ans. গুটেনবার্গ
- ভূপৃষ্ঠ কাকে বলে? (এক কথায় উত্তর দাও)
Ans. পৃথিবীর কঠিন বহিরাবরণকে ভূপৃষ্ঠ বলে
- পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল প্রায় 320 কোটি বছর আগে। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. মিথ্যা
- পৃথিবীর অভ্যন্তরের গড় তাপমাত্রা প্রায় 115°সে। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. মিথ্যা
- পৃথিবীর গভীরতম কৃত্রিম গর্ত কোনটি? (এক কথায় উত্তর দাও)
Ans. রাশিয়ার কোলা উপদ্বীপের গর্ত।
- ভূ-তাপ শক্তির সাহায্যে আইসল্যান্ড দেশ তার _________ % বিদ্যুৎ চাহিদা মেটায়। (শূন্যস্থান পূরন করো)
Ans. 27
অভিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
1. পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ কত ?
উঃ । পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ 6370 কিমি ।
2. ভূপৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রের দূরত্ব কত ?
উঃ । ভূপৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রের দূরত্ব 6370 কিমি ।
3. পৃথিবীর বৃহত্তম খনির গভীরতা কত ? এর নাম কী ?
উঃ । 3-4 কিমি । এর নাম রবিনসন দ্বীপ ।
4. ভূ - গর্ভে কীহারে উন্নতা বৃদ্ধি পায় ?
উঃ । প্রতি 33 মিটার গভীরতায় 1 ° সেলসিয়াস ।
5. পৃথিবীর গভীরতম কৃত্রিম গর্ত কোন্টি ?
উঃ । উত্তর - পশ্চিম রাশিয়ার কোলা উপদ্বীপের 12 কিমি গভীর গর্ভটি হল পৃথিবীর গভীরতম কৃত্রিম গর্ভ ।
6. উদ্বু প্রলবণে ভূগর্ভ থেকে কী নির্গত হয় ?
উঃ । উয় প্রস্রবণে ভূগর্ভ থেকে ফুটন্ত জল নির্গত হয় ।
7. আগ্নেয়গিরির মুখ থেকে কী নির্গত হয় ?
উঃ গলিত অর্ধতরল উত্তপ্ত লাভা নির্গত হয় ।
৪. পৃথিবী কৰে সৃষ্টি হয়েছিল ?
উঃ । আজ থেকে প্রায় 460 কোটি বছর আগে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল ।
9. তাপ বাড়লে পদার্থের কী হয় ?
উঃ । তাপ বাড়লে পদার্থ গলে তরলে পরিণত হয় ও আয়তনে বাড়ে ।
10. পৃথিবীর কোথায় চাপ ও তাপ দুটোই বেশি ?
উঃ । পৃথিবীর অভ্যতরে চাপ ও তাপ দুটোই খুব বেশি ।
11. পশ্চিমবঙ্গের কোথায় উরু প্রস্রবণ আছে ?
উঃ । পশ্চিমবঙ্গের বক্রেশ্বরে উয় প্রস্রবণ আছে ।
12. বক্রেশ্বরের ওই ধরনের জলকে কী বলা হয় ?
উঃ পৃথিবীর ভৌমজল বলা হয় ।
13. ভূ - তাপ কী ?
উ: ভূ - তাপ হল এক ধরনের শক্তি
14. ভূ - তাপ শক্তি থেকে কী উৎপন্ন করা হয় ?
উঃ । ভূ - তাপ শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় ।
15. আইসল্যান্ডের বিদ্যুতের চাহিদার কত শতাংশ ভূ - তাপ শক্তি মেটায় ?
উঃ । প্রায় 30 % ।
16. পৃথিবীর মধ্যে কোন্ দেশ সবচেয়ে বেশি ভূ - তাপ শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ?
উঃ । আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ।
17. ভূ - তাপ শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে কীসের ব্যবহার কমানো যায় ?
উ: জীবাশ্ম জ্বালানি অর্থাৎ খনিজ তেল , করলা ইত্যাদির ব্যবহার কমানো যায় ।
18. ভূপৃষ্ঠের গড় ঘনত্ব কত ?
উঃ মাত্র 2.6 থেকে 3.3 গ্রাম ঘন সেমি ।
19. পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছে পদার্থের গড় ঘনত্ব কত ?
উঃ । প্রায় 11 গ্রাম / ঘনসেমি ।
20. কৃত্রিম উপগ্রহের বিচারে সামগ্রিকভাবে পৃথিবীর গড় ঘনত্ব কত ?
উঃ । 5.5 গ্রাম / ঘন সেমি ।
21. কোন্ তরঙ্গ তরল বা অর্ধ তরল মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না ?
উ: S তরঙ্গ ।
23. পৃথিবী বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞানের গল্প কার লেখা ? গল্পটির নাম কী ?
উঃ । ফুল ভার্নের লেখা । গল্পটির নাম হল ' জার্নি টু দ্য সেন্টার অফ দ্য আর্থ ।
22. ভূত্বকের নীচে কী রয়েছে ?
উঃ । ভূত্বকের নীচে রয়েছে গুরুমণ্ডল ।
24. সিমা স্তরটি কোথায় অবস্থিত ?
উঃ । সিলিকন আর ম্যাগনেশিয়াম দিয়ে তৈরি সিমা স্তরটি মহাসাগরের নীচে অবস্থিত ।
25. প্রধানত কোন্ জাতীয় শিলা দ্বারা সিমা স্তরটি গঠিত ?
উঃ । ব্যাসন্ট জাতীয় আগ্নেয় শিলা দিয়ে সিমা স্তরটি গঠিত
26. সিয়াল স্তরটি কী কী নিয়ে গঠিত ?
উঃ । সিয়াল স্তরটি সিলিকন আর অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে গঠিত ।
27. কোন্ শিলা সিয়াল ভরটি গঠন করেছে ?
উঃ । গ্রানাইট জাতীয় আগ্নেয়শিলা সিয়াল স্তরটি গঠন করেছে ।
28. সিয়াল কোথায় অবস্থান করছে ?
উঃ । সিমা বা মহাসাগরীয় ভূত্বকের উপরে সিয়াল স্তরটি অবস্থান করছে ।
29. ভূত্বকের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে কোন গ্যাস রয়েছে ?
উঃ । ভূত্বকের বেশিরভাগ অংশ , প্রায় 47 শতাংশ জুড়ে রয়েছে অক্সিজেন গ্যাস ।
30. কোন্ রেখা দ্বারা দুটি ভিন্ন উপাদান ও ঘনত্বের স্তরকে আলাদা করা যায় ?
উঃ । বিযুক্তি রেখা দ্বারা ।
31. সিয়াল ও সিমা স্তরের মাঝে কোন্ রেখা রয়েছে ?
উঃ । কনরাড বিযুক্তি রেখা ।
32. গুরুমণ্ডলের প্রধান উপাদান কী কী ?
উঃ । লোহা , নিকেল , ক্রোমিয়াম , ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন ।
33. ভূত্বক ও গুরুমণ্ডলের মাঝে কোন্ স্তর রয়েছে ?
উঃ । মোহোরোভিসিক বিযুক্তিরেখা বা মোহো ।
34. কেন্দ্ৰমণ্ডল কতটা পুরু ? এর গড় তাপমাত্রা কত ?
উঃ । কেন্দ্রমণ্ডল 3500 কিমি পুরু । এর গড় তাপমাত্রা প্রায় 5000 ° সে .।
35. অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডলের গভীরতা কত ?
উঃ । অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডলের গভীরতা 5100 কিমি থেকে প্রায় 6370 কিমি ।
36. বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল কতটা পুরু ?
উঃ । বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল 2900 কিমি থেকে 5100 কিমি পুরু ।
37. গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডলের মাঝে কোন্ রেখা রয়েছে ?
উঃ । গুটেনবার্গ বিযুক্তিরেখা রয়েছে ।
38. ম্যাগমা কী ?
উঃ । ভূগর্ভের পদার্থ প্রচণ্ড চাপ ও তাপে গ্যাস , বাষ্প মিশ্রিত হয়ে গলিত অবস্থায় থাকলে তাকে ম্যাগমা বলে ।
39. লাভ কী ?
উঃ । ভূগর্ভের গলিত উত্তপ্ত অর্ধতরল ম্যাগমা ফাটল দিয়ে ভূপৃষ্ঠের বাইরে বেরিয়ে এলে তাকে লাভা বলে ।
পৃথিবীর ব্যাসার্ধ কত?
উত্তর: পৃথিবীর ব্যাসার্ধ ৬৩৭০ কিমি। অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রের দূরত্ব ৬৩৭০ কিমি।
২. পৃথিবীর গভীরতম কৃত্রিম গর্ত কোনটি?
উত্তর: উত্তর-পশ্চিম রাশিয়ার কোলা উপদ্বীপের 12 কিমি গভীর গর্তটি হল পৃথিবীর গভীরতম কৃত্রিম গর্ত।
৩. পৃথিবীর গভীরতম খনি কোনটি?
উত্তর: দক্ষিণ আফ্রিকার রবিনসন ডিপ পৃথিবীর গভীরতম সোনার খনি, যার গভীরতা ৩ থেকে ৪ কিমি।
৪. পৃথিবীর অভ্যন্তরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার কত?
উত্তর: প্রতি ৩৩ মিটার গভীরতায় প্রায় ১ ডিগ্রি সে. করে পৃথিবীর অভ্যন্তরে তাপমাত্রা বাড়ে।
৫. ম্যাগমা কি?
উত্তর: ভূগর্ভের পদার্থ প্রচন্ড চাপ ও তাপে গ্যাস, বাষ্প মিশ্রিত হয়ে গলিত অবস্থায় থাকলে তাকে ম্যাগমা বলে।
৬. লাভা কি?
উত্তর: ভূগর্ভের গলিত উত্তপ্ত অর্ধতরল ম্যাগমা ফাটল দিয়ে ভূপৃষ্ঠের বাইরে বেরিয়ে এলে তাকে লাভা বলে।
৭. উষ্ণ প্রস্রবণ কি?
উত্তর: পৃথিবীর ভৌমজল ভূতাপের সংস্পর্শে এসে গরম হয়ে ফুটতে শুরু করে। পৃথিবীপৃষ্ঠের ফাটলের মধ্য দিয়ে সেই জল বাইরে বেরিয়ে আসে। একে উষ্ণ প্রস্রবণ বলে। যেমন– বক্রেশ্বরে উষ্ণপ্রস্রন রয়েছে।
৮. ভূতাপ কি?
উত্তর: ভূতাপ হল একধরনের শক্তি। পৃথিবীর কেন্দ্রের তাপ ধীরে ধীরে বাইরের দিকে অর্থাৎ পৃথিবীপৃষ্ঠের দিকে আসতে থাকে এই তাপ শক্তিকে ভূতাপ শক্তি বলে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভূতাপ শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
. ঘনত্ব কি? পৃথিবীর ঘনত্ব কত?
উত্তর: একক আয়তনে পদার্থের কতটুকু ভর আছে তার পরিমাপকে পদার্থের ঘনত্ব বলে। ভূপৃষ্ঠের গড় ঘনত্ব মাত্র ২.৬ থেকে ৩.৩ গ্রাম/ঘন সেমি। পৃথিবীর কেন্দ্রের পদার্থের গড় ঘনত্ব প্রায় ১১ গ্রাম/ঘন সেমি। পৃথিবীর কেন্দ্রে গড় ঘনত্ব ১৩ থেকে ১৪ গ্রাম/ঘন সেমি।
১০. ভূমিকম্পের কোন তরঙ্গ যেকোনো মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে?
উত্তর: ভূমিকম্পের P তরঙ্গ যেকোনো মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
১১. কোন তরঙ্গ তরল বা অর্ধ তরল মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না?
উত্তর: S তরঙ্গ তরল বা অর্ধতরল মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না।
১২. পৃথিবীর অভ্যন্তরের চিত্রসহ স্তরবিন্যাস কর।
উত্তর: ভূমিকম্প তরঙ্গ ও আগ্নেয়গিরি জ্বালামুখ থেকে বেরোনো লাভা পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রধানত তিনটি স্তরের সন্ধান পেয়েছেন। যথা—একেবারে উপরে আছে ভূত্বক। ভূত্বকের নিচে আছে গুরুমন্ডল। আর একেবারে নিচে বা পৃথিবীর কেন্দ্রের চারিদিকে অবস্থান করছে কেন্দ্রমন্ডল।
(ক)ভূত্বক: মহাসাগরের নিচে ভূত্বক গড়ে ৫ কিমি ও মহাদেশের নিচে গড়ে ৬০ কিমি গভীর। এর গড় গভীরতার প্রায় ৩০ কিমি।
(i) সিমা: মহাসাগরের নিচে প্রধানত সিলিকন (Si) এবং ম্যাগনেসিয়াম (Mg) দিয়ে তৈরি স্তরটি হল সিমা (SIMA)। এই স্তর তুলনায় ভারী প্রধানত ব্যাসল্ট জাতীয় আগ্নেয় শিলা এই স্তর গঠন করেছে। এর ঘনত্ব ২.৯ গ্রাম/ঘন সেমি।
সিয়াল ও সিমার মধ্যে আছে কনরাড বিযুক্তিরেখা।
(ii) সিয়াল: মহাদেশের নিচে প্রধানত সিলিকন (Si) এবং অ্যালুমিনিয়াম (Al) দিয়ে তৈরি ভূত্বকের উপরের স্তরটি হল সিয়াল (SIAL)। গ্রানাইট জাতীয় আগ্নেয় শিলা এই স্তর গঠন করেছে। এই স্তর সিমার তুলনায় হালকা। সমুদ্রের নিচে এই স্তর অনুপস্থিত।
ভূত্বক ও গুরুমন্ডলের মধ্যে আছে মোহোরোভিসিক বিযুক্তিরেখা।
(খ) গুরুমন্ডল: ভূত্বক ছাড়িয়ে পৃথিবীর অভ্যন্তরে ২৯০০ কিমি পর্যন্ত একই ঘনত্ব যুক্ত স্তর হলো গুরুমন্ডল। এই স্তরের উষ্ণতা ২০০০⁰ সে – ৩০০০⁰ সে। পদার্থের ঘনত্ব ৩.৪ – ৫.৬ গ্রাম/ঘন সেমি। এই স্তরের প্রধান উপাদান লোহা, নিকেল, ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সিলিকন।
(i) ক্রোফেসিমা: গুরুমন্ডলের ৩০–৭০০ কিমি পর্যন্ত অংশে ক্রোমিয়াম (Cr), লোহা (Fe), সিলিকন (Si) ও ম্যাগনেসিয়ামের (Mg) প্রাধান্য দেখা যায়৷ এটি হলো ক্রোফেসিমা (Cro+Fe+Si+Ma) স্তর।
ক্রোফেসিমা ও নিফেসিমার মধ্যে আছে রেপিত্তি বিযুক্তিরেখা।
(ii) নিফেসিমা: গুরুমন্ডলের ৭০০–২৯০০ কিমি পর্যন্ত অংশে নিকেল (Ni), লোহা (Fe), সিলিকন (Si) ও ম্যাগনেসিয়ামের (Mg) আধিক্যের জন্য এই স্তর হলো নিফেসিমা (Ni+Fe+Si+Ma)।
গুরুমন্ডল ও কেন্দ্রমন্ডলের মাঝে আছে গুটেনবার্গ বিযুক্তিরেখা।
(গ) কেন্দ্রমন্ডল: ভূত্বক ও গুরুমন্ডলের পরবর্তী এবং কেন্দ্রের চারিদিকে বেষ্টনকারী শেষ স্তরটি হল কেন্দ্রমন্ডল। এই স্তরটি প্রায় ৩৫০০ কিমি পুরু। অত্যন্ত ভারী নিকেল (Ni) আর লোহা (Fe) দিয়ে তৈরি বলে একে (Nife) ‘নিফে’ বলে। এর গড় তাপমাত্রা প্রায় ৫০০০⁰ সে। এই স্তরেরগড় ঘনত্ব প্রায় ৯.১ থেকে ১৩.১ গ্রাম/ঘন সেমি। পদার্থের ঘনত্ব, উষ্ণতা, চাপ কেন্দ্রমন্ডলের সব জায়গায় একরকম নয়। এগুলোর উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা কেন্দ্রমণ্ডলকে দুটি অংশে ভাগ করেছেন—
i) বহি:কেন্দ্রমন্ডল: অন্ত:কেন্দ্রমন্ডলের চারিদিকে রয়েছে বহি:কেন্দ্রমন্ডল। এই স্তর ২৯০০ কিমি–৫১০০ কিমি পুরু। এর চাপ, তাপ ও ঘনত্ব অন্তকেন্দ্র মণ্ডলের তুলনায় কম। এই স্তর অর্ধকঠিন অবস্থায় পৃথিবীর অক্ষের চারিদিকে আবর্তন করছে। ন্দ্র অবস্থায় থাকার এই লোহা প্রচন্ড গতিতে ঘুরতে ঘুরতে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি করেছে, সেখান থেকে সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবীর চৌম্বকত্ব।
বহি:কেন্দ্রমন্ডল ও অন্ত:কেন্দ্রমন্ডল–এর মধ্যে রয়েছে লেহম্যান বিযুক্তিরেখা।
(ii) অন্ত:কেন্দ্রমন্ডল: এই স্তর পৃথিবীর একেবারে কেন্দ্রের চারিদিকে রয়েছে এই স্তরের গভীরতা ৫১০০ কিমি থেকে প্রায় ৬৩৭০ কিমি। এই স্তরের চাপ, তাপ, ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। অত্যাধিক চাপের ফলে পদার্থগুলো এখানে কঠিন অবস্থায় আছে
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
1. পৃথিবীর অভ্যন্তরে চাপ ও তাপ দুটোই খুব বেশি হলে সেখানে পদার্থ কী অবস্থায় থাকে ?
উঃ । পৃথিবীর অভ্যন্তরে অত্যাধিক চাপ ও তাপে পদার্থগুলি গলিত ও নরম প্রকৃতির হয়ে আছে । পিচ গলালে বা খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করলে যে অবস্থায় থাকে , পৃথিবীর অভ্যন্তরে পদার্থ অনেকটা সেইরকম অবস্থায় থাকে ।
2. ভূ - তাপশক্তি কাকে বলে ?
উঃ । ভূ - তাপ হল একধরনের শক্তি । পৃথিবীর কেন্দ্রের তাপ ধীরে ধীরে বাইরের দিকে অর্থাৎ পৃথিবীপৃষ্ঠের দিকে আসতে থাকে । এই তাপশন্তিকে ভূ - তাপশক্তি বলে ।
3. কেন্দ্রমণ্ডল কাকে বলে ? কীসের ওপর ভিত্তি করে কেন্দ্রমণ্ডলকে কয়ভাগে ভাগ করা হয়েছে ও কী কী ?
উঃ । গুরুমণ্ডলের নীচে এবং পৃথিবীর কেন্দ্রের চারিদিকে বেষ্টন করে থাকা সর্বাধিক ঘনত্বযুক্ত স্তরকে কেন্দ্রমণ্ডল বলে । পদার্থের ঘনত্ব , উন্নতা , চাপ এগুলির ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা কেন্দ্রমণ্ডলকে দুটি ভাগে ভাগ করেছেন— ( 1 ) অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডল ও ( ii ) বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল ।
4. অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডল বলতে কী বোঝ ?
উঃ । এই স্তরটি পৃথিবীর একেবারে কেন্দ্রের চারদিকে রয়েছে । এই স্তরের গভীরতা 5100 কিমি থেকে প্রায় 6370 কিমি । এই স্তরের চাপ , তাপ ও ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি । অত্যাধিক চাপের ফলে পদার্থগুলো এখানে কঠিন অবস্থায় আছে ।
5. বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল বলতে কী বোঝ ?
উঃ । অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডলের চারদিকে রয়েছে বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল । এই স্তর 2900 কিমি থেকে 5100 কিমি পুরু । এর চাপ , তাপ ও ঘনত্ব অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডলের তুলনায় কম । এই স্তর অর্ধকঠিন অবস্যায় পৃথিবীর অক্ষের চারদিকে আবর্তন করে চলেছে । সাস্ত্র অবস্থায় থাকা এই লোহা প্রচণ্ড গতিতে ঘুরতে ঘুরতে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি করেছে । সেখান থেকেই সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবীর চৌম্বকত্ব ।
6. বিযুক্তি রেখা কাকে বলে ? এর দ্বারা কী করা যায় ?
উঃ । ভূপৃষ্ঠ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত যেখানে ভূমিকম্পের তরঙ্গের গতিবেগ পরিবর্তিত হয় ; সেখানটিকে ভূতত্ত্ববিদরা বিযুক্তি রেখা বলেন । বিযুক্তি রেখা দ্বারা দুটি ভিন্ন উপাদান ও ঘনত্বের স্তরকে আলাদা করা যায় ।
যেমন : সিয়াল ও সিমার মাঝে কনরাড় বিযুক্তি রেখা রয়েছে ।
7. ভূমিকম্প তরঙ্গ কীভাবে সৃষ্টি হয় ? এগুলি কীভাবে প্রবাহিত হয় ?
উঃ । ভূ - অভ্যন্তরে কম্পন সৃষ্টি হলে ভূমিকম্প তরঙ্গ সৃষ্টি হয় । ভূমিকম্পের দুটি তরঙ্গ একটি P তরঙ্গ ও অপরটি S তরঙ্গ । ভূমিকম্পের তরঙ্গ বিভিন্ন পদার্থের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় । এই তরঙ্গের গতি কখনও ধীর কখনও বা দ্রুত হয় । ভূমিকম্পের P তরঙ্গ ভূ - অভ্যন্তরের যেকোনো কঠিন বা তরল মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে । কিন্তু S ত তরল বা অর্ধতরল কোনো মাধ্যমের মধ্য দিয়েই প্রবাহিত হতে পারে না । বর্তমানে পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে জানতে ভূমিকম্প তরঙ্গের গতিবিধি অনেকখানি সাহায্য করেছে । এর দ্বারা পর্যবেক্ষন করে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর অভ্যন্তরে তিনটি স্তরের সন্ধান পেয়েছেন ।
8. ক্লোফেসিমা স্তর কী ?
উঃ । গুরুমগুলের 30-700 কিমি পর্যন্ত অংশে ক্রোমিয়াম , লোহা , সিলিকন ও ম্যাগনেশিয়ামের প্রাধান্য দেখা যায় তাই একে ক্লোফেসিমা ( Cro + Fe + Si + Ma ) স্তর বলে ।
9. নিফেসিমা স্তর কী ?
উঃ । গুরুমণ্ডলের 700-2900 কিমি পর্যন্ত অংশে নিকেল , লোহা , সিলিকন ও ম্যাগনেশিয়ামের আধিক্য দেখা যায় । তাই এই স্তরকে নিফেসিমা ( Ni + Fe + S + Ma ) বলে ।
10. পরিচলন স্রোত সৃষ্টি হয় কীভাবে ?
উঃ । ভূগর্ভের তাপে পদার্থগুলি উত্তপ্ত হয়ে ওপরের দিকে উঠে যায় আবার উপরের অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা , ভারী পদার্থ নীচে নেমে যায় । এর ফলে পরিচলন স্রোত সৃষ্টি হয় ।
11. ঘনত্ব কী ? এর দ্বারা কী জানা যায় ?
উঃ । একক আয়তনে পদার্থের কতটুকু ভর আছে তার পরিমাপকে পদার্থের ঘনত্ব বলে । প্রতি ঘনসেমি জায়গায় পদার্থের ভর কতটা সেটাই পদার্থের ঘনত্ব । পদার্থের অণু পরমাণুগুলি কত কাছাকাছি বা কত দূরে আছে তা জানা যায় ঘনত্বের দ্বারা ।
12. নিকে কাকে বলে ?
উঃ । কেন্দ্ৰমণ্ডল হল ভূত্বক ও গুরুমণ্ডলের পরবর্তী এবং কেন্দ্রের চারিদিকে বেষ্টনকারী শেষ স্তর । এর অপর নাম নিয়ে । এই স্তরটি প্রায় 3500 কিমি পুরু । অত্যন্ত ভারী নিকেল ( Ni ) আর লোহা ( Fe ) দিয়ে তৈরি বলে একে নিয়ে বলা হয় । এই স্তরটির গড় ঘনত্ব প্রায় 9.1 থেকে 13.1 গ্রাম / ঘনসেমি । এখানকার গড় তাপমাত্রা প্রায় 5000 সেমি ।
13. ( SIMA ) ওসিয়াল ( SIAL ) স্তরটির বিবরণ দাও ।
উঃ মহাসাগরের নীচে প্রধানত সিলিকন ( Si ) ও ম্যাগনেশিয়াম ( Mg ) দিয়ে তৈরি স্তরটি হল সিমা । এই স্তরটি তুলনায় ভারী । ব্যাসন্ট জাতীয় আগ্নেয় শিলা দ্বারা এই স্তরটি গঠিত । এই স্তরের ঘনত্ব 2.9 গ্রাম / ঘনসেমি । মহাদেশের নীচে প্রধানত সিলিকন ( SI ) ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি ভূত্বকের ওপরের স্তরটি সিয়াল নামে পরিচিত । এটি গ্রানাইট জাতীয় আগ্নেয় শিলা
14.পৃথিবীর যে শক্ত পিঠটার ওপর আমরা আছি তার নীচে কী আছে ?
উঃ । পৃথিবীর উপরিভাগ হালকা কঠিন উপাদান দ্বারা ঢাকা । যার গড় গভীরতা 30 কিমি । শক্ত পিঠটার নীচে ভূকেন্দ্র পর্যন্ত প্রতিটি পদার্থ অত্যন্ত উত্তপ্ত ও গণিত অবস্থায় রয়েছে ।
15.কেউ কি কখনো দেখেছে পৃথিবীর ভেতরটা কেমন ?
উঃ । পৃথিবীর ভেতরটা দেখা কখনোই সম্ভব নয় । তবে আগ্নেয়গিরির লাভা , উগ্ন প্রবণের ফুটন্ত জল , সোনার খনি , কয়লার খনি ইত্যাদি থেকে Pics কিছুটা অনুমান করতে পারি যে এর ভিতরে কী কী থাকতে পারে ।
17.পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত দেখতে গেলে কত গভীর গর্ত খুঁড়তে হবে ?
উঃ । পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত দেখতে গেলে 6370 কিমি গভীর গর্ত খুঁড়তে হবে ।
18. পৃথিবীর ভেতরটা কেমন তা কতটা জানা সম্ভব হয়েছে ?
উঃ । পৃথিবীর ভেতরটা কেমন তা মোটামুটি অনুভব করা সম্ভব হয়েছে ।
19. পৃথিবীর ভেতরটা সম্পর্কে মানুষ যতটা জেনেছে , সেটুকু জানল কী ভাবে ?
উঃ । পৃথিবী নিজেই বুঝিয়ে দেয় তার ভিতরে কি আছে । তাই মাঝে মধ্যেই মানুষ আগ্নেয়গিরির মুখ থেকে গলিত অর্ধতরল উত্তপ্ত লাভা বের হতে দেখতে পায় , আবার রাশিয়ার কোলা উপদ্বীপের গর্ত কখনো কখনো প্রবল ভূমিকম্পে ভূপৃষ্ঠ কেঁপে ওঠা ও উরু প্রস্রবণে ভূত্বক থেকে ফুটন্ত জল বেরিয়ে আসে তা দেখতে পায় । এছাড়া মাধ্যাকর্ষণ সূত্র অনুযায়ী পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে ক্রমশ ভারী পদার্থ সজ্জিত হবে এবং ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে । ভূকম্প তরঙ্গের গতিবিধি সম্পর্কিত গবেষণা থেকে পৃথিবীর অভ্যত্তর সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া গেছে । অনুমান করা যায় , ভূগর্ভে অবস্থিত বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় খনিজ পদার্থ থেকে নির্গত তাপের প্রভাবে ভূঅভ্যন্তরভাগ সির থাকে না ।
20. বলতো কেন আমরা পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত যেতে পারি না ?
উঃ । পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল আজ থেকে প্রায় 460 কোটি বছর আগে । তখন পৃথিবী ছিল প্রচন্ড উত্তপ্ত গ্যাসীয় পিণ্ড । সময়ের সাথে সাথে পৃথিবীর উপরিপৃষ্ঠটা আগে ঠান্ডা হয়ে শক্ত হয়ে গেছে কিন্তু পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগ এখনো বিরাট বড়ো অগ্নিকুন্ড হয়ে আছে তাই আমরা পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত যেতে পারি না ।
21.কেন আমরা পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে সরাসরি কোনো তথ্য পাইনা ?
উঃ । পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ এখনও বিরাট বড়ো অগ্নিকুপ্ত হয়ে আছে সেখানে চাপ এবং ভাপ দুটোই খুব বেশি হয় বলে আমাদের পক্ষে সেখানে পৌঁছে সরাসরি তথ্য জোগাড় করা সম্ভব হয় না ।
22.পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছে থাকা পদার্থগুলোর ঘনত্ব বেশি হয় কেন ?
উঃ । পৃথিবী সৃষ্টির পর উত্তপ্ত অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে ঠান্ডা হওয়ার সময় কেন্দ্রের আকর্ষণের জন্য অপেক্ষাকৃত ঘন পদার্থগুলি যেমন নিকেল , লোহা নীচের দিকে জমা হয় । ফলে কেন্দ্রের দিকে ঘনত্ব ক্রমশ বেশি হয় । স্বাভাবিকভাবে পৃথিবীর অভ্যন্তরে যত যাওয়া যায় পদার্থের চাপ তত বাড়ে । চাপ বাড়লে পদার্থের ঘনত্ব বেড়ে যায় , তাই পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছে থাকা পদার্থগুলোর ঘনত্ব বেশি হয় ।
23. নিজে পরীক্ষা করে দেখো । কিছুটা মুড়ি , পাথর , মাটি নাও । কাচের গ্লাসে অর্ধেক জল ভর্তি করো । ওগুলো গ্লাসে ঢেলে নাড়িয়ে দেখো কী হয় ?
উঃ । এতে দেখতে পাওয়া যাবে সবচেয়ে ভারী হওয়ার কারণে পাথরগুলি গ্লাসের একেবারে নীচে রয়েছে , মাঝখানে রয়েছে অপেক্ষাকৃত কম ঘনত্বযুক্ত মুড়ি এবং সবশেষে ওপরের দিকে রয়েছে মাটি । এইভাবে গ্লাসের জলের মধ্যে তিনটি স্তর তৈরি হবে ।
No comments:
Post a Comment