নবম শ্রেণি – বাংলা – ধীবর-বৃত্তান্ত – ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর | class 9 bangla dibor brittanto prosno uttor|
MCQ question answer প্রশ্নের মান -১
- ঘটনাক্রমে সেই আংটি পেল এ(A)..” আংটিটি পেল —
(A) ধীবর
(B) নাপিত
(C) কৃষক
(D) শিকারী
Ans: (A) ধীবর।
- ধীবর যে আংটিটি খুঁজে পেয়েছিল তাতে, ছিল —
(A) রাজার ছবি
(B) রানীর নাম
(C) রাজার খোদাই করা নাম
(D) শকুন্তলার ছবি
Ans: (C) রাজার খোদাই করা নাম।
- “আপনারা শান্ত হন” বক্তা হলেন —
(A) ধীবর
(B) সূচক
(C) জানুক
(D) রাজশ্যালক
Ans: (A) ধীবর।
- “একে পূর্বাপর সব বলতে দাও।”- বক্তা কে?
(A) সূচক
(B) প্রথম রক্ষী
(C) ধীবর
(D) রাজশ্যালক
Ans: (D) রাজশ্যালক।
- ধীবরকে যে অভিযোগে ধরে আনা হয়েছিল, তা হল —
(A) আংটি চুরির অপরাধে
(B) সোনার হার চুরির অপরাধে
(C) মৎস্য শিকারের অপরাধ
(D) হরিণ শিকারের অপরাধে
Ans: (A) আংটি চুরির অপরাধে।
- ধীবর আংটিটি পেয়েছিল —
(A) রুই মাছের পেটে
(B) জালের মধ্যে
(C) জলের তলায়
(D) একটি সোনার দোকানে
Ans: (A) রুই মাছের পেটে।
- “তোর জীবিকা বেশ পবিত্র বলতে হয় দেখছি” — এই উক্তিটির বক্তা হলেন —
(A) সূচক
(B) প্রথম রক্ষী
(C) ধীবর
(D) রাজশ্যালক
Ans: (D) রাজশ্যালক।
- “আমি খন্ড খন্ড করে কাটলাম”— কি?
(A) রুই মাছ
(B) কাতল মাছ
(C) ভেটকি মাছ
(D) ইলিশ মাছ
Ans: (A) রুই মাছ।
- যার গা থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ আসছিল, সে হল —
(A) সূচক
(B) প্রথম রক্ষী
(C) ধীবর
(D) ধীবরের স্ত্রী
Ans: (C) ধীবর।
- এই অবশ্যই গোসাপ খাওয়া জেলে হবে” — এমন মন্তব্যের কারন কি?
(A) ধীবরের গা থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ আসছিল
(B) ধীবরের গা থেকে কাঁচা মাছের গন্ধ আসছিল
(C) ধীবরের গায়ে গো-সাপের ছাল লেগেছিল
(D) ধীবরের গায়ে রক্তের দাগ লেগেছিল
Ans: (A) ধীবরের গা থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ আসছিল।
- আজ আমার সংসার চলবে কীভাবে?’ — উক্তিটির বক্তা —
(A) ধীবর
(B) শ্যালক
(C) সূচক
(D) জানুক
Ans: (A) ধীবর।
- “প্রভু, অনুগৃহীত হলাম।” — অনুগৃহীত হওয়ার কারণ —
(A) রাজা মৃত্যুদণ্ড দেননি
(B) রাজা তাকে ক্ষমা করেছেন
(C) রাজা তাকে মুক্তি দিয়েছেন
(D) রাজা তাকে মুক্তির সঙ্গে আংটির মূল্যের সমান পরিমাণ অর্থ খুশি হয়ে দিয়েছেন
Ans: (D) রাজা তাকে মুক্তির সঙ্গে আংটির মূল্যের সমান পরিমাণ অর্থ খুশি হয়ে দিয়েছেন।
- তিনি শকুন্তলাকে চিনতেও পারলেন না” — উদ্ধৃতাংশে ‘তিনি’ হলেন —
(A) মহর্ষি দুর্বাসা
(B) মহর্ষি কণ্ব
(C) মহর্ষি বিশ্বামিত্র
(D) মহারাজ দুষ্মন্ত
Ans: (D) মহারাজ দুষ্মন্ত।
- “এখন মারতে হয় মারুন, ছেড়ে দিতে হয় ছেড়ে দিন” — বক্তা কে?
(A) জানুক
(B) সূচক
(C) ধীবর
(D) শ্যালক
Ans: (C) ধীবর।
- ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশটি বাংলায় তরজমা করেছেন —
(A) অর্ঘ্যকুসুম দত্তগুপ্ত
(B) নবারুণ ভট্টাচার্য
(C) সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী
(D) সত্যপ্রিয় রায়
Ans: (C) সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী।
- ধীবর বৃত্তান্ত নামক নাট্যাংশটি নেওয়া হয়েছে মহাকবি কালিদাসের যে রচনা থেকে –
(A) রঘুবংশম
(B) কুমারসম্ভবম
(C) অভিজ্ঞান শকুন্তলম
(D) মেঘদূতম
Ans: (C) অভিজ্ঞান শকুন্তলম রচনা থেকে।
- “প্রভু, অনুগৃহীত হলাম।” – ধীবরের অনুগৃহীত হওয়ার কারণ –
(A) রাজা তাকে মুক্তি দিয়েছেন
(B) তার চোর অপবাদ ঘুচছে
(C) রাজা খুশি হয়ে আংটির মূল্যের সমান পরিমাণ অর্থ তাকে উপহার পাঠিয়েছে।
(D) রাজা তার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন
Ans: (C) রাজা খুশি হয়ে আংটির মূল্যের সমান পরিমাণ অর্থ তাকে উপহার পাঠিয়েছে।
- “ঘটনাক্রমে সেই আংটি পেল এক ধীবর…” – আংটি ছিল –
(A) মহর্ষি কণ্বের
(B) রাজশ্যালকর
(C) শকুন্তলার
(D) প্রিয়ংবদার
Ans: (C) শকুন্তলার।
- “আমাদের প্রভুর দেখি খুব বিলম্ব হচ্ছে।” – ‘প্রভু’ বলতে বক্তা বুঝিয়েছেন –
(A) মহারাজকে
(B) রাজশ্যালককে
(C) মহাপাত্রকে
(D) প্রধান প্রহরীকে
Ans: (B) রাজশ্যালককে।
- তা তোর জীবিকা বেশ পবিত্র বলতে হয় দেখছি- উদ্ধৃতাংশের বক্তা হলেন –
(A) জানুক
(B) সূচক
(C) রাজশ্যালক
(D) রাজা
Ans: (C) রাজশ্যালক
- “বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ স্বভাবে দয়াপরায়ণ হলেও যজ্ঞীয় পশুবধের সময় নির্দয় হয়ে থাকেন।” – এ কথা বলেছেন-
(A) শ্যালক
(B) সূচক
(C) পুরুষ
(D) প্রথম রক্ষী
Ans: (C) পুরুষ।
- রাজশ্যালক ধীবরকে ছেড়ে দেওয়ার কথা কাকে নির্দেশ করে বলেছিল?
(A) জানুককে
(B) সূচককে
(C) দুই রক্ষীকে
(D)এদের কাউকেই নয়
Ans: (B) সূচককে নির্দেশ করে বলেছিল।
- আংটি দেখে মহারাজের মনে পড়েছিল-
(A) নিজের ছোটবেলার স্মৃতি
(B) প্রিয়জনের কথা
(C) রাজ্যাভিষেকের স্মৃতি
(D) যুদ্ধজয়ের স্মৃতি
Ans: (B) প্রিয়জনের কথা
- জেলে পারিতোষিকের অর্ধেক অর্থ দিয়েছিল-
(A) আংটির দাম হিসেবে
(B) জালের দাম হিসেবে
(C) মাছের দাম হিসেবে
(D) ফুলের দাম হিসেবে
Ans: (D) ফুলের দাম হিসেবে
- ধীবরকে বন্ধু বলে মেনে নিলেন-
(A) জানুক
(B) রাজা
(C) রাজশ্যালক
(D) গ্রামরক্ষী
Ans: (C) রাজশ্যালক
- দুই রক্ষীর নাম ছিল –
(A) জানুক – সূচক
(B) জয় – বিজয়
(C) শুম্ভ – নিশুম্ভ
(D) অমল – বিমল
Ans: (A) জানুক – সূচক
- ধীবর বৃত্তান্ত নাটকের রচয়িতা হলেন —
(A) কালিদাস
(B) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(C) বানভট্ট
(D) ভাস
Ans: (A) কালিদাস।
- ধীবর-বৃত্তান্ত নাটকটি সংকলিত হয়েছে _____ থেকে।
(A) রঘুবংশম্
(B) মৃচ্ছকটিক
(C) অভিজ্ঞান শকুন্তলম্
(D) কুমারসম্ভবম্
Ans: (C) অভিজ্ঞান শকুন্তলম্।
- বিবাহের পর দুষ্মন্ত ফিরে গিয়েছিলেন —
(A) হস্তিনাপুরে
(B) স্বর্গে
(C)তপোবনে
(D) কশ্যপের আশ্রমে
Ans: (A) হস্তিনাপুরে।
- শকুন্তলাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন —
(A) ঋষি দুর্বাসা
(B) বিশ্বামিত্র
(C) দোনাচার্য
(D) কৃপাচার্য
Ans: (A) ঋষি দুর্বাসা।
- শকুন্তলার হাতের আংটি খুলে পড়ে গিয়েছিল —
(A) তপোবনে
(B) জাহ্নবীর তীরে
(C) বেনারসে
(D) শচীতীর্থে
Ans: (D) শচীতীর্থে।
এককথায় প্রশ্ন উত্তর প্রশ্নের মান -১
১. অভিজ্ঞান শকুন্তলম্ নাটকের কোন্ অঙ্ক থেকে ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশটি নেওয়া হয়েছে?
উত্তর:-অভিজ্ঞান শকুন্তলম্ নাটকের ষষ্ঠ অঙ্ক থেকে ধীবর বৃত্তান্ত নাট্যাংশটি নেওয়া হয়েছে।
উত্তর:- ধীবর বৃত্তান্ত নাটকটি বাংলায় তরজমা করেছিলেন সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী।
উত্তর:- ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশের চরিত্রগুলি হল — জানুক ও সূচক নামে দুই রক্ষী, নগরপাল রাজশ্যালক এবং ধীবর।
উত্তর:- মহর্ষি কণ্বের অনুপস্থিতিতে দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে বিয়ে করেছিলেন এবং তাঁকে রেখে রাজধানীতে ফিরে গিয়েছিলেন।
উত্তর:- তপোবনে রাজার দূতকে প্রত্যাশা করা হয়েছিল এই ভেবে যে, সে শকুন্তলার খোঁজ নিতে সেখানে আসবে।
উত্তর:- ঋষি দুর্বাসা যখন তপোবনে এসেছিলেন তখন শকুন্তলা স্বামীর চিন্তায় মগ্ন থাকার কারণে অন্যমনস্ক ছিলেন।
উত্তর:- আশ্রমে ঋষি দুর্বাসা এলে স্বামীর চিন্তায় অন্যমনস্ক শকুন্তলা তাঁর উপস্থিতি টের পান না। এতে ঋষি দুর্বাসা অপমানিত বোধ করেছিলেন।
উত্তর:- দুর্বাসা অভিশাপ দিয়েছিলেন যে, যাঁর চিন্তায় মগ্ন থাকার কারণে শকুন্তলা তাঁকে লক্ষ করেননি, তিনি শকুন্তলাকে ভুলে যাবেন।
উত্তর:- ঋষি দুর্বাসা বলেছিলেন যে, প্রিয়জন শকুন্তলাকে ভুলে গেলেও কোনো স্মৃতিচিহ্ন দেখালে এই অভিশাপ দূর হবে।
উত্তর:- দুষ্মন্ত রাজধানীর উদ্দেশে বিদায় নেওয়ার সময়ে শকুন্তলাকে যে আংটি দিয়েছিলেন তাকেই সখীরা ভবিষ্যতের স্মারকচিহ্ন ভেবেছিলেন।
উত্তর:- মহর্ষি কণ্ব তীর্থ থেকে ফেরার পরে শকুন্তলাকে স্বামীর ঘরে পাঠানোর আয়োজন করেছিলেন।
উত্তর:- শচীতীর্থে স্নানের পরে অঞ্জলি দেওয়ার সময়ে হাত থেকে খুলে জলে পড়ে গিয়ে শকুন্তলার আংটিটি হারিয়ে যায়।
উত্তর:- শচীতীর্থে অঞ্জলি দেওয়ার সময়ে শকুন্তলার আংটি খুলে জলে পড়ে যাওয়ায় শকুন্তলা দুষ্মন্তকে আংটি দেখাতে পারেননি।
উত্তর:- রাজসভায় দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে চিনতে না পারায় শকুন্তলা অপমানিতা হয়েছিলেন।
উত্তর:- রাজা দুষ্মন্তের শ্যালকের কাজ ছিল নগর রক্ষা করা।
উত্তর:- রাজা দুষ্মন্তের শ্যালকের কাজ ছিল নগর রক্ষা করা।
উত্তর:- পিছনে হাতবাঁধা অবস্থায় এক ধীবরকে সঙ্গে নিয়ে রক্ষীদের প্রবেশ ঘটেছিল।
উত্তর:- জেলেটি তার বাসস্থান শক্রাবতারে বলে জানিয়েছিল।
উত্তর:- ধীবরের পাওয়া আংটিটি ছিল মণিখচিত এবং রাজার নাম খোদাই করা।
উত্তর:- ধীবর যখন বলে যে সে একজন জেলে এবং শক্রাবতারে থাকে, তখনই দ্বিতীয় রক্ষী আলোচ্য মন্তব্যটি করে।
উত্তর:- পুরুষ অর্থাৎ জেলে চরিত্রটি জাল, বড়শি ইত্যাদির সাহায্যে মাছ ধরে সংসার চালানোর কথা বলেছে।
উত্তর:- এখানে ধীবরটি রাজার শ্যালককে ধীবরের জীবিকা নিয়ে ব্যঙ্গবিদ্রুপ না করার কথা বলেছে।
উত্তর:- ধীবরের মতে, যে বৃত্তি নিয়ে মানুষ জন্মেছে তা নিন্দনীয় হলেও তা পরিত্যাগ করা উচিত নয়।
উত্তর:- ধীবর একটা রুইমাছ টুকরো করে কাটতে গিয়ে মাছের পেটের মধ্যে মণিমুক্তায় ঝলমলে আংটিটা দেখতে পেয়েছিল।
উত্তর:- ধীবরের গা থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ আসছিল বলে রাজার শ্যালক এরকম সন্দেহ করেছিলেন।
উত্তর:- পুরুষ – টির কাছে রাজা দুষ্মন্ডের আংটি পাওয়া গেলে তাকে চোর সন্দেহে হাত বেঁধে নিয়ে আসা হয়।
উত্তর:- ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশ থেকে নেওয়া আলোচ্য উক্তিটির বক্তা এবং এই নাট্যাংশের প্রধান চরিত্র ধীবর দুই নগররক্ষীকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
উত্তর:- ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশে প্রথম রক্ষীর এই সংলাপে রাজা বলতে রাজা দুষ্মন্তের কথা বলা হয়েছে।
উত্তর:- ধীবর বৃত্তান্ত নাট্যাংশে আলোচ্য উক্তিটির বক্তা ধীবর নগররক্ষীদের কাছে নিজের পরিচয় এবং কীভাবে সে রাজার আংটিটি পেয়েছে সে- কথা শোনাতে চেয়েছে।
উত্তর:- উদ্ধৃতাংশের বক্তা দ্বিতীয় রক্ষী আসলে জানতে চেয়েছিল রাজার নাম খোদাই করা মণিখচিত আংটিটি ধীবর কোথায় পেয়েছে।
উত্তর:- ধীবরকে বাধা না দিয়ে যেন আগাগোড়া সব কথা বলতে দেওয়া হয়- এই আদেশের কথাই এখানে বলা হয়েছে।
উত্তর:- ধীবরের গা থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ আসায় বক্তা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে, সে নিশ্চয়ই গোসাপ খাওয়া জেলে।
উত্তর:- ধীবরের কথামতো বেদজ্ঞ ব্রাক্ষ্মণ যজ্ঞীয় পশুবধের সময় নির্দয় হয়ে থাকেন।
উত্তর:- হত্যার আগে ধীবরের গলায় পরানোর জন্য ফুলের মালা গাঁথতে প্রথম রক্ষীর হাত দুটো নিশপিশ করছিল।
উত্তর:- ধীবরের কথা সত্য প্রমাণিত হওয়ায় রাজার কাছ থেকে ফিরে এসে রাজশ্যালক ধীবরকে ছেড়ে দিতে বলেছিলেন।
উত্তর:- মহারাজা খুশি হয়ে আংটির সমপরিমাণ অর্থ ধীবরকে দেওয়ায় ধীবরের সংসার চালানোর সমস্যা মিটে যায়।
উত্তর:- আংটিটি দেখে কোনো প্রিয়জনের কথা মনে পড়ায় স্বভাবে গম্ভীর প্রকৃতির হলেও মুহূর্তের জন্য রাজা বিহ্বলভাবে তাকিয়ে ছিলেন।
উত্তর:- রাজার ধীবরের প্রতি অনুগ্রহকে সূচক শূল থেকে নামিয়ে একেবারে হাতির পিঠে চাপিয়ে দেওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছিল।
উত্তর:- রক্ষীরা ধীবরকে মারার আগে যে ফুলের মালা তার গলায় পরাতে চেয়েছিল, রাজার দেওয়া পারিতোষিকের অর্ধেক অর্থ সেই ফুলের দাম হিসেবে ধীবর দিতে চেয়েছিল।
উত্তর:- মহারাজ আংটি ফিরে পেয়ে তার মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ ধীবরকে দেওয়ায় সে অনুগৃহীত হয়েছিল।
উত্তর:- ধীবরের কাছ থেকে মহারাজের আংটি উদ্ধার করার কথা শুনে মহারাজা দুষ্মন্ত খুশি হবেন বলে রক্ষীরা এই মন্তব্য করেছে।
৪২. আপনি প্রবেশ করুন। — কোথায় প্রবেশের কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তর:- আলোচ্য উদ্ধৃতাংশে রাজশ্যালককে মহারাজা দুষ্মন্তের প্রাসাদে প্রবেশ করার কথা বলা হয়েছে।
নবম শ্রেণির বাংলা পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত “ধীবর বৃত্তান্ত” নাট্যাংশটি মহাকবি কালিদাসের রচিত “অভিজ্ঞান শকুন্তলম্” নাটকের অন্তর্গত ষষ্ঠ অংক। এই নাট্যাংশে কলিঙ্গ দেশের এক ধীবরের সাথে শকুন্তলার দেখা ও তার মাধ্যমে রাজা দুষ্মন্তের সাথে শকুন্তলার পুনর্মিলনের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।
নবম শ্রেণি – বাংলা – ধীবর-বৃত্তান্ত – ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর
উদ্ধৃত উক্তির কারণ – মহর্ষি কণ্বের তপোবনে রাজা দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে বিয়ে করে রাজধানীতে ফিরে যান? এরপরে দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও রাজার কোনো দূত আসে না শকুন্তলার খোঁজ নিতে। স্বামীর চিন্তায় শকুন্তলা অন্যমনস্কা হয়ে থাকেন। এইসময়েই সেখানে আসেন ঋষি দুর্বাসা। কিন্তু শকুন্তলা আনায় থাকায় দুর্বাসার উপস্থিতি টের পান না। তখন অপমানিত ঋষি অভিশাপ দিয়ে মন্তব্যটি করেন।
২. শকুন্তলা অপমানিতা হলেন রাজসভায়। — শকুন্তলা কে? শকুন্তলার এই অপমানের কারণ কী ছিল?
উত্তর:- শকুন্তলার পরিচয় – শকুন্তলা ছিলেন মহর্ষি কণ্বের পালিতা কন্যা।
শকুন্তলার অপমানের কারণ – দুষ্মন্ত যখন শকুন্তলাকে বিবাহ করে তাঁর কাছ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন তখন তাঁকে একটি আংটি পরিয়ে দিয়েছিলেন। শকুন্তলাকে দুষ্মন্তের কাছে পাঠানোর সময়ে শকুন্তলার সখীরা মনে করে যে, দুর্বাসার অভিশাপকে ব্যর্থ করার জন্য এই আংটিটিই হবে স্মারকচিহ্ন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত যাওয়ার পথে স্নানের সময় শকুন্তলার হাত থেকে আংটিটি খুলে জলে পড়ে যায়। রাজসভায় শকুন্তলা কোনো স্মারকচিহ্ন দেখাতে না পারায় অপমানিত হন।
৩."তবে কি তোকে সদ্ ব্রাহপ বিবেচনা করে রাজা এটা দান করেছেন?"- প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বক্তার এরকম ব্যঙেক্তির কারণ ব্যাখ্যা[ রায়গঞ্জ করোনেশন হাই স্কুল]
উত্তর: ধীবরবৃত্তান্ত' নাট্যাংশে ধীবর রাজার আংটি চুরি করার কথা অস্বীকার করলে প্রথম রক্ষী আলোচ্য মন্তব্যটি করে। ধীবরের কাছে রাজার নাম খোদাই করা মণিখচিত আংটিটি পেয়ে রাজশ্যালক এবং রক্ষীরা নিশ্চিত হয়ে যায় যে ধীবরই আংটিটি চুরি করেছে। নীচু জাতের মানুষ হওয়ায় অনায়াসেই তাকে চোর সন্দেহ করা হয়। কিন্তু ধীবর সেই চুরির কথা অস্বীকার করলে একজন রক্ষী তাকে ব্যঙ্গ করে এরকম মন্তব্য করে।
৪."তা তোর জীবিকা বেশ পবিত্র বলতে হয় দেখছি।"-কে, কোন প্রসঙ্গে মন্তব্যটি করেছে?
উত্তর: ধীবরের কাছে রাজার নাম খোদাই করা মণিখচিত আংটিটি পেয়ে দুই রক্ষী তাকে চোের সাব্যস্ত করে। আত্মপক্ষ সমর্থনে ধীবর নিজের কথা বলতে চাইলেও রক্ষীরা তাকে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করে | তখন রাজার শ্যালক তার কাছে পুরো ঘটনাটি জানতে চাইলে ধীবর জানায় যে সে একজন জেলে জাল, বড়শি ইত্যাদির সাহায্যে মাছ ধরে সে তার সংসার চালায়। ধীবরের এই জবাব শুনে ব্যঙ্গের সুরে রাজার শ্যালক ধীবরের উদ্দেশে উদ্দিষ্ট মন্তব্যটি করেন।
৫"কীভাবে এই আংটি আমার কাছে এল-ত বললাম।"-বক্তা আংটি পাওয়ার প্রসঙ্গে কী বলেছিল লেখো। VI অথবা, "ঘটনাক্রমে সেই আংটি পেল এক ধীবর ..."-কোন্ ঘটনাক্রমে সে আংটিটি পেয়েছিল? [কুঁচুড়া দেশবন্ধু মেমোরিয়াল হাই স্কুল)
উত্তর: দুমন্তের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য যাত্রাপথে শচীতীর্থে অঞ্জলি দেওয়ার সময় শকুন্তলার হাত থেকে দুষ্মন্তের দেওয়া আংটিটি জলে পড়ে যায় ঘটনাক্রমে রাজশ্যালক ও রক্ষীরা সেই আংটিটি পায় এক ধীবরের কাছে ধীবরের কাছে রাজার নাম খোদাই করা রত্নখচিত আংটিটি পেয়ে রক্ষীরা তাকে চোর সাব্যস্ত করে। তখন ধীবর নিজের পেশাগত পরিচয় দেয় এবং বলে যে, একদিন একটা রুই মাছ ধরার পরে সে যখন মাছটি টুকরো। করেছিল তখন তার পেটের মধ্যে মণিমুক্তাখচিত এই আংটিটি সে দেখতে পায়। তারপরে সেই আংটিটি বিক্রি করার জন্য যখন সে লোককে দেখাচ্ছিল। তখনই রক্ষীরা তাকে ধরেছে।
No comments:
Post a Comment