পশ্চিমবঙ্গ নবম শ্রেণীর ভূগোল অষ্টম অধ্যায় | Class 9 8th chapter geography question answer | - Studing School

Fresh Topics

Friday, March 1, 2024

পশ্চিমবঙ্গ নবম শ্রেণীর ভূগোল অষ্টম অধ্যায় | Class 9 8th chapter geography question answer |

 

পশ্চিমবঙ্গ নবম শ্রেণীর ভূগোল অষ্টম অধ্যায় | Class 9 8th chapter geography question answer | 




1. পশ্চিমবঙ্গের আয়তন কত?

উঃ ৮৭৮৫৩ বর্গ কিমি।

2. ভূপ্রকৃতির বৈচিত্র্য অনুসারে পশ্চিমবঙ্গকে প্রধানত কটি অঞ্চলে ভাগ করা যায়? কী কী?

উঃ তিনটি ভূপ্রাকৃতিক অঞ্চলে। যথা – উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল, পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল এবং সমভূমি অঞ্চল।

3. দার্জিলিং পর্বতশ্রেণির অন্য আর এক নাম কী?

উঃ ঘুম রেঞ্জ।

4. টাইগার হিলের উচ্চতা কত?

উঃ ২,৫৭৩ মিটার।

5. ঋষিলা পর্বতের উচ্চতা কত? এটি কোন শহরের কাছে অবস্থিত?

উঃ ৩,১২১ মিটার। এটি কালিম্পং শহরের কাছে অবস্থিত।

6. অযোধ্যা পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী? এর উচ্চতা কত?

উঃ গোরগাবুরু। এর উচ্চতা ৬৭৭ মিটার।

7. বাঁকুড়া, বীরভূম ও মেদিনীপুর জেলায় অবস্থিত একটি করে পাহাড়ের নাম লেখ।

উঃ বাঁকুড়া – বিহারীনাথ, শুশুনিয়া

  • বীরভূম – মথুরাখালি
  • মেদিনীপুর – বেলপাহাড়ী।

8. উত্তরবঙ্গের তিনটি নদীর নাম লেখ।

উঃ তিস্তা, জলঢাকা, মহানন্দা।

9. সুন্দরবন অঞ্চলে অবস্থিত তিনটি নদীর নাম লেখ।

উঃ সপ্তমুখী, মাতলা, গোসাবা, বিদ্যাধরী।

10. পশ্চিমবঙ্গে প্রবাহিত একটি বরফগলা জলে পুষ্ট, একটি বর্ষার জলে পুষ্ট ও একটি জোয়ারের জলে পুষ্ট নদীর নাম লেখ।

উঃ বরফগলা জলে পুষ্ট – গঙ্গা নদী।

  • বৃষ্টির জলে পুষ্ট – অজয়
  • জোয়ারের জলে পুষ্ট – মাতলা।

11. ভাগীরথী-হুগলী নদীর প্রধান উপনদীগুলির নাম লেখ।

উঃ অজয়, দামোদর, ময়ূরাক্ষী, রূপনারায়ণ ও হলদি।

12. ভাগীরথী-হুগলী নদীর পূর্ব-দিক দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলির নাম লেখ।

উঃ জলঙ্গী, ভৈরবী, মাথাভাঙ্গা, চুর্ণী, ইছামতী, বিদ্যাধরী, কালিন্দী, মাতলা, রায়মঙ্গল, পিয়ালী ও সপ্তমুখী।

13. পশ্চিমবঙ্গে সারা বৎসরে কী কী ঋতু দেখা যায়?

উঃ গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত।

14. পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু কোন বায়ুপ্রবাহের দ্বারা সর্বাধিক প্রভাবিত হয়?

উঃ মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের দ্বারা।

15. পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু কী প্রকৃতির?

উঃ ক্রান্তীয় মৌসুমী প্রকৃতির।

16. পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু কোন বায়ুপ্রবাহের দ্বারা সর্বাধিক প্রভাবিত?

উঃ মৌসুমী বায়ু, বিশেষত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের দ্বারা সর্বাধিক প্রভাবিত হয়।

17. পশ্চিমবঙ্গে কোন মাসে কালবৈশাখীর প্রাদুর্ভাব বেশি?

উঃ গ্রীষ্মের শুরুতে চৈত্র-বৈশাখ মাসে।

18. কোন বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিপাত হয়?

উঃ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে।

19. পশ্চিমবঙ্গের কোন অংশে গ্রীষ্মকালেও পশমের বস্ত্র প্রয়োজন হয়?

উঃ দার্জিলিং-এর পার্বত্য অঞ্চলে।

20. পশ্চিমবঙ্গের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গের নাম কী এবং উচ্চতা কত?

উঃ সান্দাকফু (৩৬৩০ মিটার)।

21. পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলে অবস্থিত একটি পাহাড়ের নাম কর।

উঃ অযোধ্যা পাহাড়।

22. পশ্চিমবঙ্গের কোন অংশে অনেক বালিয়াড়ি দেখা যায়?

উঃ পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে মেদিনীপুর জেলা বঙ্গোপসাগরীয় উপকূলে যার আর এক নাম দীঘা কাঁথি উপকূল।

23. রাঢ় অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত একটি নদীর নাম কর।

উঃ দামোদর নদ।

24. কোন কোন নদীর মিলিত প্রবাহের নাম রূপনারায়ণ?

উঃ শিলাবতী ও দারকেশ্বর।

25. পশ্চিমবঙ্গের একটি নদীর নাম কর যাতে জোয়ার ভাটা হয়।

উঃ হুগলী নদী।

26. পশ্চিমবঙ্গের তিনটি পূর্ববাহিনী নদীর নাম কর।

উঃ দামোদর, অজয়, ময়ূরাক্ষী।

27. পশ্চিমবঙ্গের একটি নদীর নাম লেখ যাতে জোয়ার-ভাঁটা দেখা যায়।

উঃ হুগলী নদী।

28. পশ্চিমবঙ্গের রাঢ় অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত একটি নদীর নাম লেখ।

উঃ ময়ূরাক্ষী।

29. পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কী?

উঃ গোরগাবুরু।

30. তরাই অঞ্চলে প্রবাহিত একটি নদীর নাম লেখ।

উঃ তিস্তা।


31. পশ্চিমবঙ্গের কোন ভূ-প্রাকৃতিক অঞ্চলে বালিয়াড়ি দেখা যায়?

উঃ উপকূলের বালুকাময় সমভূমিতে।

32. রাঢ় অঞ্চলে কোন শ্রেণির মাটি দেখা যায়?

উঃ ল্যাটেরাইট জাতীয় লাল মাটি।

33. পশ্চিমবঙ্গের বরেন্দ্রভূমির মাটি কী জাতীয়?

উঃ ল্যাটেরাইট।

34. সুন্দরবন অঞ্চলে কোন প্রকার মাটি দেখা যায়?

উঃ লবণাক্ত।

35. পশ্চিমবঙ্গের কোন ভূ-প্রাকৃতিক অঞ্চলে মামা-ভাগ্নে পাহাড় অবস্থিত?

উঃ পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলে।

36. পশ্চিমবঙ্গের মালভূমিতে অবস্থিত একটি পাহাড়ের নাম কর।

উঃ অযোধ্যা পাহাড়।

37. বক্রেশ্বরের উষ্ণ প্রস্রবণ পশ্চিমবঙ্গের কোন ভূ-প্রাকৃতিক অঞ্চলে অবস্থিত? 

উঃ পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলে।

38. পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলে অবস্থিত একটি জলপ্রপাতের নাম লেখ।

উঃ ব্রাহ্মণী।

39. দামোদর নদীর প্রধান শাখার নাম কী?

উঃ মুণ্ডেশ্বরী।

40. পশ্চিমবঙ্গের কোথায় সর্বাপেক্ষা বেশী বৃষ্টিপাত হয়?

উঃ দার্জিলিং –এ।

41. পশ্চিমবঙ্গের শুষ্কতম জেলার কোনটি?

উঃ পুরুলিয়া জেলা।

42. বাংলার দুঃখ কোন নদকে বলা হয়?

উঃ দামোদর নদকে।

43. সুন্দরবন নামকরণের কারণ কী?

উঃ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার দক্ষিণাংশে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকার বিস্তৃর্ণ অঞ্চল জুড়ে চিরসবুজ ম্যানগ্রোভ বনভূমি আছে। ওই বনভূমিতে বিভিন্ন ধরণের গাছের মধ্যে সুন্দরী নামে এক ধরণের গাছ বেশি দেখা যাউ বলে ঐ বনভূমির নাম হয়েছে সুন্দরবন।

44. গঙ্গা ব-দ্বীপের সক্রিয় অংশ কোনটি?

উঃ সুন্দরবন অঞ্চল।

45. কোন শৈলশিরা পশ্চিমবঙ্গকে নেপাল থেকে পৃথক করেছে?

উঃ সিঙ্গলিলা শৈলশিরা।

46. পশ্চিমবঙ্গের কোন স্থানে সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হয়?

উঃ বক্সা দুয়ার-এ।

47. তিস্তা নদীটি কোথা থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে?

উঃ তিস্তা নদীটি সিকিম হিমবাহের জেমু হিমবাহ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে।

48. পশ্চিমবঙ্গের নবীনতম অংশ কোনটি?

উঃ গঙ্গা ব-দ্বীপ। বিশেষত এই ব-দ্বীপের দক্ষিনাংশের সুন্দরবন এলাকা।

49. পশ্চিমবঙ্গের কোন অঞ্চল ডুয়ার্স নামে পরিচিত?

উঃ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশে জলপাইগুড়ি জেলার অরণ্যপূর্ণ তরাই অঞ্চল ডুয়ার্স নামে পরিচিত।

50. পশ্চিমবঙ্গের কোন নদী গঙ্গা নামে পরিচিত?

উঃ ভাগীরথী হুগলী নদী।

51. পশ্চিমবঙ্গের নবগঠিত দ্বীপটির নাম ও অবস্থান উল্লেখ কর।

উঃ পূর্বাশা, এটি সুন্দরবনের দক্ষিণাংশে ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত।

52. কোন কোন নদীর মিলিত প্রবাহের নাম হলদি নদী?

উঃ কাঁসাই ও কেলেঘাই নদীর।

  1. পশ্চিমবঙ্গে গ্রীষ্মকাল শুষ্ক ও শীতকাল আর্দ্র। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)

Ans. মিথ্যা

  1. হলদিয়া পশ্চিমবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)

Ans. সত্য

  1. হলদিয়া পশ্চিমবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)

Ans. সত্য

  1. ______ একটি আত্মীয় বৃক্ষ। (শূন্যস্থান পূরন করো)

Ans. রডোডেনড্রন

  1. পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত দুটি ‘ফুড পার্ক’-এর নাম লেখো। (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. শংকরপুর ও কাকদ্বীপ।

  1. পশ্চিমবঙ্গের উষ্ণতম স্থানটির নাম কী? (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. আসানসোল।

  1. দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহ জেলার প্রাচীন পলিগঠিত ভূমিকে বরেন্দ্রভূমি বলে। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)

Ans. সত্য

  1. পেডং, কালিম্পং-এর নিকটে অবস্থিত একটি ছোটো শহর। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)

Ans. সত্য

  1. পার্বত্য অঞ্চলের মাটির রং কেমন হয়? (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. কালো বা ধূসর।

  1. দার্জিলিং একটি শৈলশহর। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)

Ans. সত্য

  1. সেবক ব্রিজ কোন নদীর ওপর অবস্থিত? (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. তিস্তা।

  1. ______ জেলাকে পশ্চিমবঙ্গের ‘ধানের গোলা’ বলা হয়। (শূন্যস্থান পূরন করো)

Ans. বর্ধমান

  1. পশ্চিমবঙ্গের দুটি তন্তুজাতীয় শস্যের নাম লেখো। (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. পাট ও শন।

  1. উত্তরবঙ্গের নদীগুলি খরস্রোতা বলে ______ উৎপাদনে সুবিধাজনক। (শূন্যস্থান পূরন করো)

Ans. জলবিদ্যুৎ

  1. উত্তরবঙ্গের নদীগুলি ______ জলে পুষ্ট। (শূন্যস্থান পূরন করো)

Ans. বরফগলা

  1. কোন নদী উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলকে দ্বিধাবিভক্ত করেছে? (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. তিস্তা নদী।

  1. পশ্চিমবঙ্গের দুটি অর্থকরী ফসলের নাম লেখো। (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. চা ও পাট।

  1. পশ্চিমবঙ্গের উষ্ণতম স্থানটির নাম কী? (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. আসানসোল।

  1. 2011 সালের জনগণনা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের জনঘনত্ব ______। (শূন্যস্থান পূরন করো)

Ans. 1,029 জন/বর্গকিমি

  1. পশ্চিমবঙ্গের কোন্ দিকে হিমালয় পর্বত অবস্থিত? (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. উত্তর দিকে।

  1. কত সালে মেদিনীপুর জেলাকে দুটি প্রশাসনিক বিভাগে ভাগ করা হয়? (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. 2002 সালের 1 জানুয়ারি।

  1. ______ নামে গঙ্গা নদীর একটি শাখা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। (শূন্যস্থান পূরন করো)

Ans. পদ্মা

  1. পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু শীতল নাতিশীতোষ্ণ প্রকৃতির। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)

Ans. মিথ্যা

  1. পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান জেলার সংখ্যা কত? (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. 20 টি।

  1. সুন্দরী গাছে শ্বাসমূল থাকে। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)

Ans. সত্য

  1. ভাগীরথীর দুটি উপনদীর নাম লেখো। (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. ময়ুরাক্ষী ও অজয়।

  1. দামোদরের দুটি উপনদীর নাম লেখো। (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. কোনার ও বরাকর।

  1. সেবক ব্রিজ কোন নদীর ওপর অবস্থিত? (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. তিস্তা।

  1. পার্বত্য অঞ্চলের মাটির রং কেমন হয়? (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. কালো বা ধূসর।

  1. পশ্চিমবঙ্গের একটি সেচ খালের নাম হল কংসাবতী বাঁধ। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)

Ans. সত্য।

সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ২]

1। কি কারণে কালবৈশাখী হয়?

উত্তর- এপ্রিল মে মাস নাগাদ, পশ্চিমবঙ্গের সমভূমি অঞ্চলে কালবৈশাখীর সৃষ্টি হয়। সাগরের আর্দ্র বাতাসের সঙ্গে অপেক্ষাকৃত পূবালী বাতাস এবং স্থলভাগের বাতাস একসঙ্গে হলে তা বজ্রমেঘের সৃষ্টি করে, পরে তা চাপ আকাবে নীচে নেমে আসে এবং প্রচণ্ড বজ্রমেঘের সৃষ্টি করে।

2। তাল অঞ্চল কাকে বল?

উত্তর- কালিন্দী নদীর পূর্বদিকে অবস্থিত কোচবিহার জেলার দক্ষিণতম অংশ এবং সমগ্র উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তাল সমভূমি নামে পরিচিত। ভূপ্রকৃতিগতভাবে এই অঞ্চলটি নিম্নভূমি ও পলি সঞ্চয়ের ফলে গঠিত হয়েছে। এই অঞ্চলে অসংখ্য জলভূমি রয়েছে। ফলে বর্ষাকালে তাল অঞ্চলটি প্লাবিত হয়।

3। ডুংরি কি?

উত্তর- পুরুলিয়া, বাঁকুড়া অঞ্চলে মালভূমির ক্ষয়প্রাপ্ত ছোট ছোট টিলা বা পাহাড়গুলি স্থানীয় ভাষায় ডুংরি নামে পরিচিত। অযোধ্যা পাহাড়তলির কাছে প্রায় তিন-চার কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে বেশ কিছু ডুংরি। এরমধ্যে বিখ্যাত হল ভালিডুংরি।

সংক্ষিপ্ত ব্যাখামূলক উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৩]

1। পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ উদ্ভিদ পর্ণমোচী কেন?

উত্তর-পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু ক্রান্তীয় আর্দ্র মৌসুমি প্রকৃতির হওয়ায় ঋতু পরিবর্তন ঘটে। এই ঋতু পরিবর্তন পর্ণমোচী প্রজাতির উদ্ভিত জন্মানোর মূল কারণ। বছরে আর্দ্র ও উষ্ণ গ্রীষ্মকাল এবং শুষ্ক ও শীতল শীতকাল হয়ে থাকে। এছাড়াও এই দুটি ঋতুর মধ্যবর্তী সময়ে বসন্ত ঋতু এবং হেমন্ত ঋতুর আগমন ঘটে এবং এই নির্দিষ্ট দুটি ঋতুতেই পার্বত্য ও সমভূমি অঞ্চলের বেশ কিছু প্রজাতির গাছের পাতা ঝরে যায়। এইধরণের স্বাভাবিক উদ্ভিদের প্রজাতির শিতকালের পূর্বে ও গ্রীষ্মের আগমনের পূর্বে নিয়ম করে গাছের পাতা ঝরে যায় তাই এই প্রজাতির নাম পর্ণমোচী উদ্ভিদ। যে তিন ধরণের পর্ণমোচী উদ্ভিত দেখা যায়, সেগুলি হল-শাল, সেগুন, ওক, বারচ, ম্যাপল প্রভৃতি পূর্ব হিমালয়ে দেখা যায়।শাল, শিমূল, মহুয়া, পলাশ, আমলকী প্রভৃতি মালভূমি অঞ্চলে দেখা যায়।আম, জাম, কাঁঠাল প্রভৃতি সমভূমি অঞ্চলে দেখা যায়।

2। পশ্চিমবঙ্গের শীতকাল শুষ্ক কেন?

উত্তর-পশ্চিমবঙ্গে শীতকালে সাধারণত বৃষ্টিপাত হয়না। শীতকালে সূর্যের দক্ষিণায়ন হওয়ায় ফলে উত্তর ও উত্তর পূর্ব ভারতে তাপমাত্রা কম থাকে। ফলে এসময় স্থল্লাগে উচ্চচাপ এবং দক্ষিণে সমুদ্রের দিকে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। একারনে স্থলভাগ থেকে জলভাগের দিকে বাতাস প্রবাহিত হয়, যা উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু নামে পরিচিত। এই বায়ু সম্পূর্ণ শুষ্ক এবং জলীয় বাষ্পবিহীন হয়ে থাকে, পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে এই বায়ু প্রবাহিত হয় ফলে পশ্চিমবঙ্গে শীতকাল শুষ্ক থাকে।

3। 'পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের অধিকাংশ নদী পূর্ববাহিনী' – ভৌগলিক কারণ ব্যখ্যা করো।

উত্তর- পশ্চিমবঙ্গের ভূমির ঢাল পশ্চিম দিক থেকে পূর্বদিকে হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই অধিকাংশ নদী পূর্ববাহিনী হয়েছে। মালভূমি অঞ্চল থেকে উৎপন্ন নদীগুলি প্রবদিকে সমভূমিতে কম উচ্চতার দিকে প্রবাহিত হয়েছে অর্থাৎ বঙ্গোপসাগরের দিকে পতিত হয়েছে। ভূপ্রাকৃতিকভাবে ভূমির ঢাল এবং মালভূমি অঞ্চল থেকে সমভূমি অঞ্চলের দিকে ভূমির ঢাল কম হওয়ায় মালভূমি অঞ্চলের অধিকাংশ নদী পূর্ববাহিনী।

4। জঙ্গলমহল সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উত্তর- ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝারগ্রাম ও ছোটনাগপুর মালভূমির বন, পর্বত ও অরন্যময় অংশটির নাম হল জঙ্গলমহল। অষ্টাদশ শতাব্দীতে এই অঞ্চল ব্রিটিশ শাসনাধীনে আসার পর এই নাম চালু হয়। ব্রিটিশ শাসনকালে এই জঙ্গল 'তরাই' নামে পরিচিত ছিল অঞ্চল। এই এলাকাটি ঘন জঙ্গল এবং সাঁওতাল ও ভূমিজদের বসবাস রয়েছে।

5। 'সুন্দরবন অঞ্চলে এখনও বদ্বীপ গঠনের কাজ চলছে' - ভৌগলিক কারণ ব্যখ্যা করো।

উত্তর- সমগ্র সুন্দরবন অঞ্চলটি সুদীর্ঘকাল ধরে বঙ্গোপসাগরের মোহনা অঞ্চলে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদের মিলিত পলি সঞ্চয়কাজের ফলে গঠিত হয়েছে। ভূমিগত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে সুন্দরবনে এখনও বদ্বীপ গঠনের কাজ চলছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার দক্ষিণ পূর্ব ভাগ ও বাংলাদেশের খুলনা জেলার দক্ষিণ ভাগ এই সক্রিয় বদ্বীপ গঠনের অংশ। এই অংশে ক্রমাগত নদীর পলি সঞ্চয় কাজ চলছে বলে অসংখ্য ছোট ছোট দ্বীপের বিকাশ ঘটেছে। এই সক্রিয় দ্বীপগুলির কিছু কিছু অংশে বসতি গড়ে উঠেছে।সুন্দরবন অঞ্চলের লবনাক্ত মাটির বেশিরভাগ উৎস আসে নদী থেকে আসা পলি সঞ্চয় থেকে। এখানকার মাটি পলিযুক্ত দোআঁশ ধরণের।দিঘা-কাথি উপকুলের নিকটে নদীবাহিত পলির পরিমাণ কম এবং সমুদ্র উপকূলের জোয়ারের ফলে লবণাক্ত জল থেকে

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্ন (LA)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৫]

1। হাওড়াকে ভারতের গ্লাসগো বলা হয় কেন? GTA চুক্তি কি?

উত্তর- কলকাতা শহরের বিপরীতে ভাগীরথী হুগলী নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকেন্দ্র হল হাওড়া। হুগলী শিল্পাঞ্চলের অন্তর্গত এই শিল্প শহরটিতে পাট, ইঞ্জিনিয়ারিং, বস্ত্রবয়ন, কার্পার্স শিল্প প্রভৃতি নানাধরণের শিল্প ও উৎপাদনের জন্য কারখানা গড়ে উঠেছে। এরূপই, ইংল্যান্ডের গ্লাসগো শহরটি একটি বহু চর্চিত শিল্পকেন্দ্র। এখানে অসংখ্য ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প রয়েছে, তাই ইংল্যান্ডের এই শহরের সাথে তুলনা করেই হাওড়া শহরকে ভারতের গ্লাসগো বলা হয়।

GTA চুক্তি- গোর্খাল্যান্ড আঞ্চলিক প্রশাসন বা GTA হল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলের আধা- স্বশাসিত প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ। 1988 সালে GTA চুক্তি স্থাপিত হয়। GTA এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে দার্জিলিং জেলার তিনটি মহকুমা যথা - দার্জিলিং সদর, কালিম্পং ও কারশিয়াং এবং শিলিগুড়ির অংশবিশেষ।

2। 'পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমি প্রকৃতির' - এই বক্তব্যটির সত্যতা বিচার করো।

উত্তর-পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র ক্রান্তীয় মৌসুমি প্রকৃতির। শীতকালের কয়েকটি মাস এবং উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল ছাড়া প্রায় সারাবছরই উষ্ণতা বেশি থাকায় জলবায়ু উষ্ণ প্রকৃতির। রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাঝারি থেকে বেশি হওয়ায়, জলবায়ু আর্দ্র প্রকৃতির হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যভাগ দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা প্রসারিত হয়েছে, ফলে এখানকার জলবায়ু ক্রান্তীয় প্রকৃতির। মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ দ্বারা আবহাওয়ার উপাদানগুলি সর্বাধিক প্রভাবিত হওয়ায় জলবায়ু মৌসুমি প্রকৃতির। পশ্চিমবঙ্গের ঋতু পরিবর্তন, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ, বায়ুপ্রবাহ ও উষ্ণতার পরিবর্তন মৌসুমি বায়ু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। মোট বার্ষিক বৃষ্টিপাতের 90% মৌসুমি বায়ুর দ্বারা ঘটে। রাজ্যে ঋতুগত বিপরীতমুখী বায়ুপ্রবাহ হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালে জলীয় বাষ্পপূর্ণ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এবং শীতকালে শুষ্ক উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়। একারণে গ্রীষ্মকাল আর্দ্র ও শীতকাল শুষ্ক। রাজ্যের সর্বত্র সম পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়না, ফলে কোথাও উষ্ণতার স্বাভাবিক প্রসার বেশি, কোথাও কম হয়ে থাকে। এরূপ উষ্ণতার বণ্টন ক্রান্তীয় জলবায়ুর ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায়।







No comments:

Post a Comment