অধ্যায় 3 ভারতের সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা: খ্রিস্টীয় সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতক সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতিয় অধ্যায়| class 7 history brought questions answer| - Studing School

Fresh Topics

Friday, February 9, 2024

অধ্যায় 3 ভারতের সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা: খ্রিস্টীয় সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতক সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতিয় অধ্যায়| class 7 history brought questions answer|

অধ্যায় 3  

ভারতের সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা: খ্রিস্টীয় সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতক সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতিয় অধ্যায়| class 7 history brought questions answer|





চার/পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও: 

1 টীকা লেখো: চর্যাপদ।  

উত্তর: খ্রিস্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতকে লেখা বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের কবিতা ও গানের সংকলন হল চর্যাপদ। পাল যুগের শেষ দিক থেকে বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যরা প্রাচীন বাংলা ভাষায় চর্যাপদ লেখা শুরু করেন। এককথায় বলা যায়, চর্যাপদে যে ভাষা রয়েছে তা একেবারেই আদি বাংলা ভাষার নিদর্শন। লুইপাদ, সরহপাদ, কাহ্নপাদ, ভুসুকুপাদ প্রমুখ চর্যাপদকে কবিতায় ভরিয়ে তোলেন। চর্যাপদের মধ্যে দিয়ে সেই সময়ের বাংলার পরিবেশ ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ছবি ফুটে ওঠে। 

2. পাল রাজাদের বৌদ্ধধর্মের প্রতি অনুরাগ বাংলার সংস্কৃতিতে কী প্রভাব ফেলেছিল বলে তোমার মনে হয়, বিশ্লেষণ করো। 

উত্তর: পাল রাজাদের বৌদ্ধধর্মের প্রতি অনুরাগ বাংলার সংস্কৃতির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটিয়েছিল। পাল রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা ও বিহারে শিক্ষাদীক্ষায় বৌদ্ধ প্রভাব অনেক বেশি পড়েছিল। নালন্দা, ওদন্তপুরী, বিক্রমশীল, সোমপুরী, জগদ্দল, বিক্রমপুরী প্রভৃতি বৌদ্ধবিহারগুলি সেকালের শিক্ষাদীক্ষায় বড়ো ভূমিকা নিয়েছিল। বিখ্যাত বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের মধ্যে শান্তরক্ষিত, শান্তিদেব, কম্বলপাদ, শবরীপাদ, কাহ্নপাদ, গোরক্ষনাথ এবং অতীশ দীপঙ্কর ছিলেন উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া চর্যাপদ-সহ ভাষা-সাহিত্য, স্থাপত্য-ভাস্কর্য ও চিত্রশিল্পে বৌদ্ধধর্মের বিশেষ প্রভাব পড়েছিল। পাল আমলে স্থাপত্য নিদর্শনগুলির মধ্যে বৌদ্ধস্তূপ ও বিহার ছিল প্রধান। পোড়ামাটির শিল্পসামগ্রী- গুলিতে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সুখ-দুঃখ, সমাজজীবন ও ধর্মবিশ্বাস ইত্যাদি ফুটে উঠত। বৌদ্ধধর্মের পান্ডুলিপি অলংকরণ করতে মিনিয়েচার বা অণুচিত্র আঁকার চল জনপ্রিয় হয়েছিল।

[3] সামন্ততান্ত্রিক সমাজকাঠামোর আকৃতি কেন ত্রিভুজাকার হয় বলে তোমার মনে হয়? [পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন] উত্তর: সমাধানসহ পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নাবলির 'বিশদে উত্তর দাও' বিভাগের 1 নং প্রশ্নের প্রথম অংশের উত্তরটি দ্যাখো। 

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর সান 5 আট/দশটি বাক্যে উত্তর দাও: 

1. সামন্ত ব্যবস্থায় স্তরভেদের চিত্রটির বর্ণনা দাও। 

উত্তর: খ্রিস্টীয় নবম শতকে পশ্চিম ইউরোপে এক রকম সামরিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার উদ্ভব ঘটেছিল, একে সামন্ততন্ত্র বলে। 

[a] সমাজকাঠামো: সামন্ত সমাজের কাঠামো ছিল ত্রিভুজের মতো। এই সমাজকাঠামোয় ছিল রাজা, বিভিন্ন সামন্ত, উপসামন্ত এবং জনগণের অবস্থান। 

[b] বিভিন্ন স্তর: সামন্ত সমাজে সবার ওপরে রাজার অবস্থান, রাজার নীচে অল্প কিছু মহাসামন্ত ছিলেন, মহাসামন্তদের পরবর্তী ধাপে মাঝারি সামন্ত ও সবার নীচেজনগণ। অর্থাৎ রাজা, সামন্ত এবং জনগণকে নিয়ে স্তরভিত্তিক সামন্ত সমাজ গড়ে ওঠে। 

(c) সম্পর্ক: মহাসামন্ত, সামন্তদের মধ্যে সব সময় যুদ্ধ- বিবাদ লেগে থাকত। সবাই চাইত নিজের ক্ষমতা বাড়িয়ে নিতে। কখনো আবার এরা জোট বেঁধে রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামত এবং রাজার ক্ষমতাকেও তারা অস্বীকার করত। এর ফলে রাজশক্তির দুর্বলতা পরিষ্কার হয়ে যায়। সামন্ত প্রভুরা দুর্গ তৈরি করত। সামন্ত প্রভুদের ম্যানরে বা খামারে ভূমিদাস বা সার্ফদের খাটিয়ে উৎপাদন করা হত। এ ছাড়া ছিল স্বাধীন চাষি। অর্থাৎ রাজস্ব ও শাসনের অধিকার এইভাবে স্তরে স্তরে ভাগ হয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা সামন্ততন্ত্রের উদ্ভবকে নিশ্চিত করেছিল। 

3] সামন্ততান্ত্রিক সমাজকাঠামোর আকৃতি কেন ত্রিভুজাকার হয় বলে তোমার মনে হয়? [পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন] উত্তর: সমাধানসহ পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নাবলির 'বিশদে উত্তর দাও' বিভাগের 1 নং প্রশ্নের প্রথম অংশের উত্তরটি দ্যাখো। 

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর সান 5 আট/দশটি বাক্যে উত্তর দাও: 

1. সামন্ত ব্যবস্থায় স্তরভেদের চিত্রটির বর্ণনা দাও। 

উত্তর: খ্রিস্টীয় নবম শতকে পশ্চিম ইউরোপে এক রকম সামরিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার উদ্ভব ঘটেছিল, একে সামন্ততন্ত্র বলে। 

[a] সমাজকাঠামো: সামন্ত সমাজের কাঠামো ছিল ত্রিভুজের মতো। এই সমাজকাঠামোয় ছিল রাজা, বিভিন্ন সামন্ত, উপসামন্ত এবং জনগণের অবস্থান। 

[b] বিভিন্ন স্তর: সামন্ত সমাজে সবার ওপরে রাজার অবস্থান, রাজার নীচে অল্প কিছু মহাসামন্ত ছিলেন, মহাসামন্তদের পরবর্তী ধাপে মাঝারি সামন্ত ও সবার নীচেজনগণ। অর্থাৎ রাজা, সামন্ত এবং জনগণকে নিয়ে স্তরভিত্তিক সামন্ত সমাজ গড়ে ওঠে। 

(c) সম্পর্ক: মহাসামন্ত, সামন্তদের মধ্যে সব সময় যুদ্ধ- বিবাদ লেগে থাকত। সবাই চাইত নিজের ক্ষমতা বাড়িয়ে নিতে। কখনো আবার এরা জোট বেঁধে রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামত এবং রাজার ক্ষমতাকেও তারা অস্বীকার করত। এর ফলে রাজশক্তির দুর্বলতা পরিষ্কার হয়ে যায়। সামন্ত প্রভুরা দুর্গ তৈরি করত। সামন্ত প্রভুদের ম্যানরে বা খামারে ভূমিদাস বা সার্ফদের খাটিয়ে উৎপাদন করা হত। এ ছাড়া ছিল স্বাধীন চাষি। অর্থাৎ রাজস্ব ও শাসনের অধিকার এইভাবে স্তরে স্তরে ভাগ হয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা সামন্ততন্ত্রের উদ্ভবকে নিশ্চিত করেছিল। 

2. প্রাচীনকালে বাঙালির খাওয়াদাওয়া সম্পর্কে পরিচয় দাও। 

উত্তর: প্রাচীনকালে বাংলার প্রধান ফসল ছিল ধান। তাই বাঙালির প্রধান খাদ্য ছিল ভাত। প্রাচীন কাব্যে বর্ণনা রয়েছে যে, গরম ভাতে গাওয়া ঘি, তার সঙ্গে মৌরলা মাছ, নালতে (পাট) শাক, সরপড়া দুধ, আর পাকা কলা দিয়ে খাবার বাঙালির রসনায় তৃপ্তি আনত। বাংলায় উৎপন্ন লবণ অন্য মাত্রা যোগ করেছিল। 

[a] শাকসবজি: বাঙালির খাদ্য তালিকায় নানা ধরনের শাকসবজি ছিল। সেই সময় তাদের খাবারে জায়গা করে নিয়েছিল বেগুন, লাউ, কুমড়ো, ঝিঙে, কাঁকরোল, কচু ইত্যাদি। 

[b] মাছ: বাংলা হল নদীনালার দেশ। নানা ধরনের মাছে ভরতি ছিল নদনদীগুলি। রুই, পুঁটি, মৌরলা, শোল, ইলিশ ইত্যাদি মাছ খাওয়ার অভ্যাস ছিল।

[c] মাংস-জাতীয় খাবার: প্রাচীনকালে বাঙালি সমাজের সকলে না হলেও অনেকেই হরিণ, ছাগল, নানা রকমের পাখি, কচ্ছপের মাংস, কাঁকড়া, শামুক, শুকনো মাছ ইত্যাদি খেত। 

[d] আলু ও ডাল: মধ্যযুগে বাঙালি পোর্তুগিজদের কাছ থেকে আলু খাওয়া শিখেছিল। তারা ডাল খাওয়ার অভ্যাস পেয়েছিল উত্তর ভারতের মানুষের কাছ থেকে। 

[e] মিষ্টান্ন-জাতীয় খাবার: বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে ছিল মিষ্টি-জাতীয় খাদ্যবস্তু। দুধ ও তার থেকে তৈরি দই, পায়েস, ক্ষীর ও আখের গুড় ছিল প্রধান। 

[f] পানীয়: বাঙালি সমাজে পানীয় খাওয়ার চলও ছিল। মহুয়া ও আখ থেকে তৈরি পানীয় তাদের সমাজে চালু ছিল। 

3. নালন্দা মহাবিহার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 

উত্তর: প্রাচীন ভারতের একটি বিশ্বখ্যাত শিক্ষাকেন্দ্র ছিল নালন্দা মহাবিহার। সম্ভবত গুপ্ত সম্রাটদের আমলে খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতকে বিহারের নালন্দায় এই বৌদ্ধবিহার তৈরি হয়েছিল। 


a] শিক্ষাদীক্ষা: নালন্দার সমৃদ্ধির যুগে এখানে দশ হাজার আবাসিক ভিক্ষুর মধ্যে ১৫০০ জন ছিলেন শিক্ষক এবং ৮৫০০ জন ছিলেন ছাত্র। কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ছাত্ররা এখানে পড়ার সুযোগ পেত। চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকে নালন্দায় শিক্ষালাভ করেছেন। 

[b] রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা: কনৌজরাজ হর্ষবর্ধন এবং পাল রাজাদের আমলে নালন্দা রাজকীয় আনুকূল্য লাভ করেছিল। কেবল স্থানীয় রাজা এবং জমির মালিকরাই নয় সুদূর সুমাত্রা দ্বীপের শাসকও নালন্দা মহাবিহারের জন্য সম্পদ দান করেছিলেন। এর ফলে ছাত্রদের বিনা পয়সায় খাবার, জামাকাপড়, শয্যাদ্রব্য এবং ওষুধপত্র দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। 

[c] আন্তর্জাতিক খ্যাতি: নালন্দায় পড়াশোনার জন্য চিন, তিব্বত, কোরিয়া, মোঙ্গলিয়া থেকে ছাত্ররা আসত। চিলা ছাত্রদের জন্য বিশেষ তহবিলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ত্রয়োদশ শতকেও এর খ্যাতি বজায় ছিল। কিন্তু এই শতকেই তুর্কি অভিযানকারীরা বিহার আক্রমণ করে নালন্দা মহাবিহারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসাধন করেছিল। 

4. বিক্রমশীল মহাবিহার সম্পর্কে পরিচয় দাও। উত্তর: পালরাজ ধর্মপাল (৭৭০-৮১০ খ্রি.) মগধে (বিহারের ভাগলপুর জেলা) বিক্রমশীল মহাবিহার প্রতিষ্ঠা করেন। 

[a] শিক্ষা পরিকাঠামো: বিক্রমশীল মহাবিহার ছিল নালন্দার মতো বিদ্যাচর্চার একটি উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংখ্যা ছিল প্রায় তিন হাজার। এই মহাবিহারে ব্যাকরণ, তর্কশাস্ত্র, দর্শন ইত্যাদি পড়ানো হত এবং ভরতির জন্য ছাত্রদের প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হত। শিক্ষা শেষ হলে ছাত্রদের উপাধি দেওয়া হত। 

[b] অধ্যাপকবৃন্দ: বিক্রমশীল মহাবিহারে বৌদ্ধধর্ম চর্চা ও শিক্ষার জন্য একশোরও বেশি আচার্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন শান্তিপদ, কল্যাণ রক্ষিত, শ্রীধর, অডয়াকর গুপ্ত প্রমুখ। দীপঙ্কর-শ্রীজ্ঞান (অতীশ) ছিলেন বিক্রমশীল মহাবিহারের অধ্যক্ষ। 

[c] মহাবিহারের ধ্বংসসাধন: ধর্মপালের সময় থেকে পরবর্তী প্রায় ৫০০ বছর বিক্রমশীল মহাবিহার শিক্ষাচর্চার অন্যতম কেন্দ্র ছিল। লক্ষ্মণসেনের রাজত্বের শেষদিকে বখতিয়ার খলজির নেতৃত্বে তুর্কিরা বাংলা আক্রমণ করে বিক্রমশীল মহাবিহার ধ্বংস করেন। 

5. পাল ও সেন আমলে বাংলায় সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের ধরন কেমন ছিল বলে তোমার মনে হয়? [পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন] 


উত্তর: পাল ও সেন আমলে বাংলার সাধারণ মানুষের জীবন ছিল মোটামুটি সচ্ছল। তবে ভূমিহীন ব্যক্তি ও শ্রমিকের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। সমসাময়িক সাহিতো গরিব মানুষের জীবনের ছায়া পড়েছে। সমসাময়িক কবিদের রচনায় খিদেয় কাতর শিশু, গরিব লোকের ভাঙা কলসি, ছেঁড়া কাপড় প্রভৃতির উল্লেখ পাওয়া যায়। চর্যাপদের একটি কবিতায় আছে-'হাঁড়িতে ভাত নেই, নিত্য উপবাস। এটাই চরম দারিদ্র্যের নিদর্শন। 

পাল-সেন আমলে গ্রামের সম্পন্ন কৃষকের জীবনযাত্রার ছবি ফুটে উঠেছে এমন একটি রচনায় লেখা হয়েছে-বর্ষার জল পেয়ে চমৎকার ধান গজিয়েছে, গোরুগুলো ঘরে ফিরে এসেছে, খেতে ভালো আখ হয়েছে, আর কোনো ভাবনা নেই। 

পাল আমলের তুলনায় সেন আমলে বর্ণব্যবস্থা কঠোর ও অনমনীয় হয়ে পড়েছিল। এই সময় ব্রাহ্মণরাই সমাজপতি হিসেবে সুবিধা ভোগ করত। অব্রাহ্মণরা ব্রাহ্মণদের কাজগুলি করতে পারত। পাল-সেন আমলে পোড়ামাটির শিল্পসামগ্রীতে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সুখ-দুঃখ, সমাজজীবন ও ধর্ম বিশ্বাস ইত্যাদি ফুটে উঠেছে। 

প্রাচীন কাব্য থেকে জানা যায়, গরিব লোকের খাদ্য তালিকায় থাকত নানা ধরনের শাকসবজি। সেই সময় বেগুন, লাউ, কুমড়ো, ঝিঙে, কাকরোল, ডুমুর, কচু প্রভৃতি শাকসবজি এবং কই, পুঁটি, মৌরলা, শোল, ইলিশ ইত্যাদি মাছ খাওয়ার অভ্যাস ছিল। এ ছাড়া আখের গুড় ও দুধ ছিল বাঙালির প্রিয় খাদ্যবস্তু। 

পড়ার মাঝে মজার কাজ 

1. কর সংগ্রহ করা কাকে বলে? এখন কী কী ভাবে কর সংগ্রহ করা হয়? 

উত্তর: প্রাচীনকালে রাজারা নিজেদের রাজত্ব ও প্রশাসন ব্যবস্থাকে পরিচালনার জন্য প্রজাদের থেকে যে অর্থ আদায় করতেন তাকে বলা হয় কর। ▶ এখন, ভূমিকর, আয়কর, উৎপাদন শুল্ক, গৃহকর, বাণিজ্য কর আদায় করা হয়। এ ছাড়া বর্তমানে চালু হয়েছে জিএসটি বা গুত্স অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স। 

2. তোমার খাতায় একটি শঙ্কু আকৃতির বৌদ্ধস্তূপের ছবি আঁকো। 

উত্তর:

3 রাজারা কেন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে জমি দান করতেন বলে মনে হয়? 

উত্তর: রাজারা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে জমি দান করতেন যাতে অনাবাদী জমি ও ফসল পরিষ্কার করে নতুন বসতি ও কৃষিজমির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। 

4. প্রাচীন যুগের বাংলার প্রধান ফসলগুলির ও পশু- পাখির মধ্যে কোনগুলি আজকের পশ্চিমবঙ্গেও দেখা যায়? 

উত্তর: প্রাচীন যুগের বাংলার প্রধান ফসলগুলির ও পশুপাখির মধ্যে আজকের পশ্চিমবঙ্গে দেখা যায় এমন ফসলের নাম হল ধান, সরষে, কার্পাস, পান, সুপুরি, এলাচ, মহুয়া এবং পশুপাখি হল গোরু, বলদ, ছাগল, হাঁস, মুরগি, পায়রা, কাক, কোকিল, ঘোড়া, হাতি, বাঘ, বুনো মোষ, হরিণ, শূকর, সাপ ইত্যাদি।

5. বৌদ্ধবিহারগুলির মতো পড়াশোনার কেন্দ্র কি আজকাল দেখা যায়? 

উত্তর: বৌদ্ধবিহারগুলির মতো পড়াশোনার কেন্দ্র আজ আর তেমন দেখা যায় না। বৌদ্ধধর্মের অবক্ষয়ের ফলে এই কেন্দ্রগুলির গুরুত্ব নষ্ট হয়ে যায়। 

6. সেন যুগের সাহিত্য থেকে সেই সময়ের বাংলার যে দুরকম ছবি পাওয়া গেছে, এর থেকে সেযুগের সমাজ কেমন ছিল বলে তোমার মনে হয়? 

উত্তর: সেন যুগের সাহিত্যে পাওয়া সমাজচিত্রে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ধরা পড়ে। ধনীদের বিলাসিতা ও গরিবলোকের কষ্ট চোখে পড়ে।




No comments:

Post a Comment