ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া নবম শ্রেণীর ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর| class 9 4th chapter geography question answer| - Studing School

Fresh Topics

Monday, February 26, 2024

ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া নবম শ্রেণীর ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর| class 9 4th chapter geography question answer|

  ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া নবম শ্রেণীর ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর| class 9 4th chapter geography question answer|



এককথায় উত্তর:-

 প্রশ্নের মান-1


১. কোন প্রকার ভূআলোড়নে শিলায় ভাঁজ পড়ে?

Ans. গিরিজনি আলোড়ন।

২. হিমালয় পর্বত কোন মহীখাত থেকে সৃষ্টি হয়েছে?

Ans. টেথিস।

৩. কোন প্রক্রিয়ায় অসমতল ভূমি সমতলে পরিণত হয়?

Ans. পর্যায়ন।

৪. 'ভূমধ্যসাগরের আলোকস্তম্ভ' কোন আগ্নেয়গিরিকে বলা হয়?

Ans. স্ট্রম্বলি।

৫. পৃথিবীর উচ্চতম মালভূমির নাম কি?

Ans. পামির।

৬. ভারতের আরাবল্লী কী ধরনের পর্বত?

Ans. প্রাচীন ভঙ্গিল।

৭. টেবিল ল্যান্ড কোন ভূমিকে বলা হয়?

Ans. মালভূমি।

৮. পৃথিবীর দীর্ঘতম পর্বতমালা কোনটি?

Ans. আন্দিজ।

৯. পৃথিবীর বৃহত্তম শিল্ড মালভূমিটির নাম কি?

Ans. সাইবেরিয়া শিল্ড।

১০. বাজাদা সমভূমি কোন অঞ্চলে দেখা যায়?

Ans. মরুভূমি অঞ্চলে।

১১. ভারতের একটি স্তুপ পর্বতের উদাহরণ দাও।

Ans. সাতপুরা।

১২. ভূত্বকে বৃহৎ পাতের সংখ্যা কয়টি?

Ans. ৭ টি।

MCQ question answer:-


  1. আলফ্রেড ওয়েগনার ‘মহীসঞ্চরণ’ মতবাদের ব্যাখ্যা দেন— A. 1914 সালে B. 1896 সালে C. 1922 সালে D. 1912 সালে

Ans. D

  1. জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্ট প্রকৃতপক্ষে একটি – A. বনভূমি B. স্তূপ পর্বত C. কৃষ্ণ মৃত্তিকা অঞ্চল D. বৃক্ষহীন অঞ্চল

Ans. B

  1. গ্রস্ত উপত্যকার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে— A. সিন নদী B. রাইন নদী C. ভিলা নদী D. গোদাবরী নদী

Ans. B

  1. টেবিলল্যান্ড বলা হয়ে থাকে— A. পর্বতকে B. মালভূমিকে C. পাহাড়কে D. সমভূমিকে

Ans. B

  1. শিলাস্তরে ভাজ পড়ে সৃষ্টি হয়— A. ভঙ্গিল পর্বত B. স্তূপ পর্বত C. আগ্নেয় পর্বত D. সঞ্চয়জাত পর্বত

Ans. A

  1. পৃথিবীর উচ্চতম আগ্নেয় পর্বত – A. ফুজিয়ামা B. কটোপাকসি C. ওজোস ডেল সালাডো D. মাউন্ট হেলমস

Ans. C

  1. মহাদেশীয় পাতের ঘনত্ব প্রতি ঘনসেমিতে— A. 270 গ্রাম B. 290 গ্রাম C. 260 গ্রাম D. 310 গ্রাম

Ans. A

  1. ঝাড়খণ্ডের রাজমহল একটি – A. স্তূপ পর্বত B. ক্ষয়জাত পর্বত C. ভঙ্গিল পর্বত D. আগ্নেয় পর্বত

Ans. B

  1. পাকিস্তানের সল্টরেঞ্জ একটি— A. ভঙ্গিল পর্বত B. আগ্নেয় পর্বত C. স্তূপ পর্বত D. ক্ষয়জাত পর্বত

Ans. C

  1. ‘টেল’ ভূমিরূপ গঠিত হয়— A. নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে B. হিমবাহের নুড়ি ও কাদা সঞ্চয়ের ফলে C. উপকূলের বালি সঞ্জিত হয়ে D. বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে

Ans. B

  1. পৃথিবীর উচ্চতম আগ্নেয়গিরি হল— A. ফুজিয়ামা B. ভিসুভিয়াস C. ক্রাকাতোয়া D. মৌনালোয়া

Ans. D

  1. নদী প্রধানত ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায়— A. হিমবাহ অব্যুষিত অঞ্চলে B. হিমরেখার নীচে আর্দ্র অঞ্চলে C. মরু অঞ্চলে D. কোনোটিই নয়

Ans. B

  1. বর্তমানে যেখানে হিমালয় পর্বত অবস্থিত সেখানে একদিন ছিল— A. ভারত মহাসাগর B. বঙ্গোপসাগর C. টেথিস সাগর D. প্রশান্ত মহাসাগর

Ans. C

  1. ভারতের বিন্ধ্য ও সাতপুরার গ্রস্ত উপত্যকার মধ্যে দিয়ে প্রভাবিত – A. মহানদী B. সরস্বতী নদী C. নর্মদা নদী D. গঙ্গা নদী

Ans. C

  1. ভূমিরূপের গঠন ও পরিবর্তনের জন্য – A. ভূ-আলোড়ন B. নগ্নীভবন C. ভূ-আলোড়ন ও নগ্নীভবন D. কোনোটিই নয়

Ans. C

  1. জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্ট প্রকৃতপক্ষে একটি – A. বনভূমি B. স্তূপ পর্বত C. কৃষ্ণ মৃত্তিকা অঞ্চল D. বৃক্ষহীন অঞ্চল

Ans. B

  1. ‘টেল’ ভূমিরূপ গঠিত হয়— A. নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে B. হিমবাহের নুড়ি ও কাদা সঞ্চয়ের ফলে C. উপকূলের বালি সঞ্জিত হয়ে D. বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে

Ans. B

  1. একটি স্তূপ পর্বতের উদাহরণ হল— A. হিমালয় B. সাতপুরা C. ভিসুভিয়াস D. রকি

Ans. B

  1. ‘পৃথিবীর ছাদ’ বলা হয়— A. পামির মালভূমিকে B. তিব্বত মালভূমিকে C. আরব মালভূমিকে D. লাদাখ মালভূমিকে

Ans. A

  1. ভারতের একটি লাভা মালভূমির উদাহরণ হল— A. লাদাখ মালভূমি B. ছোটোনাগপুর মালভূমি C. দাক্ষিণাত্য মালভূমি D. মেঘালয় মালভূমি

Ans. C

  1. পেডিমেন্ট ভূমিরূপ গঠিত হয়— A. হিমবাহের ক্ষয়ের ফলে B. নদীর ক্ষয়ের ফলে C. সমুদ্র তরঙ্গের ক্ষয়ের ফলে D. বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে

Ans. D

  1. অভিসারী পাত সঞ্চরণের ফলে সৃষ্টি হয়— A. স্তূপ পর্বত B. ভঙ্গিল পর্বত C. ক্ষয়জাত পর্বত D. সমভূমি

Ans. B

  1. The great Rift Valley-এর দৈর্ঘ্য প্রায়— A. 5,800 কিমি B. 5,670 কিমি C. 6,000 কিমি D. 3,475 কিমি

Ans. C

  1. আলফ্রেড ওয়েগনার ‘মহীসঞ্চরণ’ মতবাদের ব্যাখ্যা দেন— A. 1914 সালে B. 1896 সালে C. 1922 সালে D. 1912 সালে

Ans. D

  1. পৃথিবীর সর্বাধিক আগ্নেয়গিরি দেখা যায়— A. প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে B. আটলান্টিক মহাসাগরীয় অঞ্চলে C. ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে D. সুমেরু মহাসাগরীয় অঞ্চলে

Ans. A

  1. প্রতিসারী আটলান্টিক মহাসাগরীয় পাতের গতিবেগ বছরে— A. 5-6সেমি B. 13-14সেমি C. 2-3সেমি D. 9-11সেমি

Ans. C

  1. জাগ্রোস ও এলবুর্জ পর্বতের মাঝে যে মালভূমি রয়েছে – A. লাদাখ B. ইরান C. ইউকন D. ইকুয়েডর

Ans. B

  1. বিস্তৃত প্লাবন সমভূমি দেখা যায়— A. গোদাবরী অববাহিকায় B. নর্মদা অববাহিকায় C. তাপ্তি অববাহিকায় D. গঙ্গা নদীর অববাহিকায়

Ans. D

  1. মাউন্ট এভারেস্ট অবস্থিত – A. নেপালে B. ভুটানে C. ভারতে D. চিনে

Ans. A

  1. আগ্নেয় মেখলা দেখা যায়— A. প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে B. ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে C. আটলান্টিক মহাসাগরীয় অঞ্চলে D. কুমেরু মহাসাগরীয় অঞ্চলে

Ans. A

  1. বিস্তৃত প্লাবন সমভূমি দেখা যায়— A. গোদাবরী অববাহিকায় B. নর্মদা অববাহিকায় C. তাপ্তি অববাহিকায় D. গঙ্গা নদীর অববাহিকায়

Ans. D

  1. বর্তমানে যেখানে হিমালয় পর্বত অবস্থিত সেখানে একদিন ছিল— A. ভারত মহাসাগর B. বঙ্গোপসাগর C. টেথিস সাগর D. প্রশান্ত মহাসাগর

Ans. C

  1. পৃথিবীর উচ্চতম আগ্নেয় পর্বত – A. ফুজিয়ামা B. কটোপাকসি C. ওজোস ডেল সালাডো D. মাউন্ট হেলমস

Ans. C

  1. The great Rift Valley-এর দৈর্ঘ্য প্রায়— A. 5,800 কিমি B. 5,670 কিমি C. 6,000 কিমি D. 3,475 কিমি

Ans. C

  1. আলফ্রেড ওয়েগনার ‘মহীসঞ্চরণ’ মতবাদের ব্যাখ্যা দেন— A. 1914 সালে B. 1896 সালে C. 1922 সালে D. 1912 সালে

Ans. D

১. সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : [প্রশ্নের মান-১]
১.১ ভূ-আলোড়ন একটি—
(ক) অন্তর্জাত প্রক্রিয়া
(খ) বহির্জাত প্রক্রিয়া
(গ) মহাজাগতিক প্রক্রিয়া
(ঘ) বায়ুমণ্ডলীয় প্রক্রিয়া

উঃ-ক) অন্তর্জাত প্রক্রিয়া



১.২ একটি বহির্জাত প্রক্রিয়া-
(ক) বায়ুপ্রবাহ
(খ) ভূমিকম্প
(গ) আগ্নেয়োচ্ছ্বাস
(ঘ) ভূ-আন্দোলন

উঃ-(ক) বায়ুপ্রবাহ



১.৩ মহিভাবক আলোড়নে শিলায়—
(ক) চ্যুতি সৃষ্টি হয়
(খ) ভাঁজ সৃষ্টি হয়
(ঘ) সঞ্চয় হয়
(গ) ক্ষয় হয়

উঃ-(ক) চ্যুতি সৃষ্টি হয়



১.৪ পৃথিবীর দীর্ঘতম পর্বতশ্রেণি—

(ক) হিমালয়
(খ) রকি
(গ) আন্দিজ
(ঘ) আল্পস

উঃ-ক) হিমালয়

১.৫ আগ্নেয়গিরির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়—
(ক) প্রশান্ত মহাসাগরীয় বলয়ে
(খ) মধ্য আটলান্টিক বলয়ে
(গ) মধ্য ভারত মহাসাগরীয় বলয়ে
(ঘ) মধ্য মহাদেশীয় বলয়ে

উঃ-(ক) প্রশান্ত মহাসাগরীয় বলয়ে


১.৬ ভূপৃষ্ঠে অনুভূমিকভাবে ঘটে—
(ক) গিরিজনি আলোড়ন
(খ) মহিভাবকআলোড়ন
(গ) মহাজাগতিক আলোড়ন
(ঘ) আকস্মিক আলোড়ন

উঃ-(ক) গিরিজনি আলোড়ন


১.৭ ভাঁজ খেয়ে সৃষ্টি হয়েছে ভারতের—
(ক) পশ্চিমঘাট পর্বতমালা
খ) সাতপুরা পর্বত
(গ) বিন্ধ্য পর্বত
(ঘ) হিমালয় পর্বত

উঃ-(ঘ) হিমালয় পর্বত


১.৮ পৃথিবীর ছাদ বলা হয়—

(ক) তিব্বত মালভূমিকে
(খ) পামির মালভূমিকে
(গ) ছোটোনাগপুর মালভূমিকে
(ঘ) দাক্ষিণাত্য মালভূমিকে

_উঃ-খ) পামির মালভূমিকে


 ১.৯ সমগ্ৰায়ভূমির মাঝে শক্ত পাথরের টিলার ন‍্যায় ভূমিরূপকে বলে—
(ক)ডেল্টা
(খ) মোনাডনক
(গ) লোয়েস
(ঘ) বাজাদা

উঃ-খ) মোনাডনক


১.১০ ভূপৃষ্ঠে সমান্তরাল দুটি ফাটলের মাঝের অংশ উঠে সৃষ্টি হয়-
(ক) ক্ষয়জাত পর্বত
(খ) সঞ্চয়জাত পর্বত
(ঘ) ভঙ্গিল পর্বত
(গ) স্তূপ পর্বত

উঃ-(গ) স্তূপ পর্বত



১.১১ লোয়েস সমভূমি সৃষ্টি হয়েছে—
(ক) ভারতে
(খ) আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে
(গ) জাপানে
(ঘ) চিনে

উঃ-ঘ) চিনে


১.১২ গ্রস্ত উপত্যকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদী-
(ক) সবরমতী
(খ) লুনি
(গ) গঙ্গা
(ঘ) নর্মদা

উঃ-ঘ) নর্মদা

১.১৩ তুরানের নিম্নভূমি একটি—
(ক) উন্নত সমভূমি
(খ) অবনত সমভূমি
(গ) পেডিমেন্ট সমভূমি
(ঘ) সমপ্ৰায়ভূমি

উঃ-(খ) অবনত সমভূমি


১.১৪ গাঙ্গেয় সমভূমি একটি—

(ক) উন্নত সমভূমি
(গ) বদ্বীপ সমভূমি
(খ) অবনত সমভূমি
(ঘ) পলল সমভূমি

উঃ-(গ) বদ্বীপ সমভূমি

সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ২]

1. ভাঁজ কাকে বলে?

উত্তর- প্রবল গিরিজনি ভূ-আলোড়নের বা পার্শ্বচাপের ফলে ভূপৃষ্ঠের পাললিক শিলাস্তরে যে একাধিক তরঙ্গের মত বাঁকের সৃষ্টি হয় তাকেই ভাঁজ বলে। গিরিজনি আলোড়ন পৃথিবী পৃষ্ঠের সঙ্গে আড়াআড়ি কাজ করে থাকে।

2. অন্তর্জাত ও বহির্জাত প্রক্রিয়ার মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখ করো।

উত্তর- পৃথিবীর অন্তর্জাত ও বহির্জাত শক্তির মাধ্যমে ভৌত ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ভূমিরূপের বিবর্তন ও পরিবর্তনের ফলাফল হল ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া। সামগ্রিকভাবে অন্তর্জাত ও বহির্জাত প্রক্রিয়ার মিলিত ক্ষয় ও সঞ্চয় কাজের ফলে পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ ও বহির্ভাগে ভূমিরূপের পরিবর্তন ও গঠন হয়ে থাকে।

3. পর্বতের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তর-পর্বতের উচ্চতা ৯০০ মিটারের বেশি এবং ঢাল খুব খাড়া হয়।পর্বত সাধারণত শৃঙ্গবিশিষ্ট হয়, এদের পর্বতশৃঙ্গ বলে, অধিক উচ্চতায় অবস্থিত হওয়ার জন্য পর্বতশৃঙ্গ বরফে ঢাকা থাকে।

4. আগ্নেয় পর্বতের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তর- ভূগর্ভের অতি উত্তপ্ত ম্যাগমা লাভা রূপে ভূপৃষ্ঠে সঞ্চিত হয়ে আগ্নেয় পর্বতের সৃষ্টি হয়। আগ্নেয় পর্বতের উৎপত্তির সঙ্গে ভূ-আভ্যন্তরীণ শক্তির সম্পর্ক আছে।

5. ভূগাঠনিক সমভূমি কয়প্রকার ও কি কি?

উত্তর- ভূ-আন্দোলনের ফলে উঁচু স্থান নিচু হয়ে কিংবা নিচু স্থান উঁচু হয়ে সমভূমির সৃষ্টি হলে তাকে বলা হয় ভূ-গাঠনিক সমভূমি। এটি দুইপ্রকার যথা – ক) উন্নত সমভূমি খ) অবনত সমভূমি।

6. পাত কি?

উত্তর- পৃথিবীর অভ্যন্তরে গুরুমন্ডলে অ্যাসথেনোস্ফিয়ারে ভাসমান কতকগুলি অবনমিত কঠিন খন্ডাকৃতি অংশগুলি ঊর্ধ্বমুখী পরিচলন স্রোতের প্রভাবে চলমান তাকে পাত বলে।

7. পর্যায়ন কাকে বলে?

উত্তর- বহির্জাত শক্তির দ্বারা ক্ষয়, বহন ও সঞ্চয় কাজের মাধ্যমে উঁচুনিচু ভূভাগকে অর্থাৎ ভূমির উপরিভাগের সমতলীকরণ প্রক্রিয়াকে পর্যায়ন বলে। এখানে সাধারণ তল বা পৃষ্ঠ বলতে ক্ষয়ের শেষ সীমাকে বোঝায়।

সংক্ষিপ্ত ব্যাখামূলক উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৩]

1. 'পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ সমভূমি অঞ্চলে বসবাস করেন' - ভৌগলিক কারণ ব্যাখ্যা করো।

উত্তর- পৃথিবীর অধিকাংশ সমভূমি নদীর পলি সঞ্চয়ের ফলে গড়ে ওঠায়, সমভূমি অঞ্চলগুলি উর্বর এবং কৃষিকাজের উপযুক্ত।ভূমিরূপের প্রকৃতি সমতল হওয়ায় যে কোনরকম পরিবহন ব্যবস্থা খুব সহজেই সমতলভূমিতে গড়ে ওঠে। এরফলে যোগাযোগের কাজও দ্রুত হয়ে থাকে।কৃষি ও খনিজ সম্পদের সমৃদ্ধ অঞ্চলের উন্নত পরিকাঠামো তৈরি হয়ে থাকে সমভূমি অঞ্চলে, ফলে শিল্পের বিস্তার হয়। উপরিক্ত কারণগুলির জন্য বসবাস্, জীবিকা নির্বাহ সবক্ষেত্রেই সমভূমি অঞ্চলগুলিতে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ বসবাস করেন।

-2. প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা কিভাবে তৈরি হয়েছে?

উত্তর- প্রশান্ত মহাসাগরকে বেষ্টন করে মহাদেশগুলির প্রান্তভাগে বলয়ের আকারে অসংখ্য আগ্নেয়গিরি রয়েছে, তাকেই বলা হয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা। এই আগ্নেয় বলয়টি প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত, পশ্চিমদিকে ইউরেশিয় পাত ও পূর্বদিকে আমেরিকান পাতের সীমানা বরাবর অবস্থিত। এই অভিসারী পাত সীমানায় অপেক্ষাকৃত ভারী প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতটি হালকা ইউরেশিয় ও আমেরিকান পাতের নীচে নিমজ্জিত হলে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতটি নীচে গুরুমন্ডলের তাপের সংস্পর্শে এসে গলে ম্যাগমায় পরিণত হয় এবং ওই দুটি পাতের সংযোগস্থলের দ্রবল অংশ দিয়ে বাইরে নির্গত হয়ে আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি করে। এইভাবে প্রশান্ত মহাসাগরে বলয়ের আকারে আগ্নেয় দ্বীপপুঞ্জটির সৃষ্টি হয়েছে।

3. 'নবীন ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চল ভূমিকম্পপ্রবণ' – ব্যাখ্যা দাও।

উত্তর- পৃথিবীর অধিকাংশ ভঙ্গিল পর্বত অভিসারী পাত সীমানায় মহাদেশীয় পাতের সংঘর্ষে সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ৪ থেকে ৭ কোটি বছর আগে টারসিয়ারি যুগের শেষদিকে যে ভঙ্গিল পর্বতগুলির সৃষ্টি হয়েছে, ভূতাত্ত্বিক সময়ের বিচারে সেগুলি অত্যন্ত নবীন। এই নবীন ভঙ্গিল পর্বতগুলির গঠনকাজ এখনো চলছে। সক্রিয় পাতসীমানায় অবস্থিত হওয়ায় নবীন ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চলে বারবার ভূমিকম্প হয়ে থাকে। হিমালয়, আল্পস, রকি প্রভৃতি নবীন ভঙ্গিল পর্বতের উদাহরণ।

4। অভিসারী পাত সীমানায় ভূমিকম্প হয় কেন?

উত্তর- ভূত্বকের পাতগুলি পরস্পর অভিমুখী হয়ে থাকলে, তাকে অভিসারী পাত সীমানা বলে। এই পাত সীমান্তের ক্ষেত্রে, মহাসাগরীয় ও মহাদেশীয় পাত পরস্পর অভিমুখী চলনের ফলে ভারী মহাসাগরীয় পাত মহাদেশীয় পাতের নীচে নিমজ্জিত হয়, এরফলে গভীর সামুদ্রিক খাতের সৃষ্টি হয়। এই নিমজ্জিত পাতের কিছু অংশ অ্যাসথেনোস্ফিয়ারে গলে গিয়ে, অভিসারী পাত সীমানা বরাবর ভূত্বকের বাইরে বেরিয়ে আসে। এই নিমজ্জিত পাত সীমানায় একাধিক আগ্নেয়গিরি ও আগ্নেয় দ্বীপের সৃষ্টি হয়। ভূত্বকের এঈ অংশ ও অস্থিত থাকায় প্রায়ই এই অঞ্চলে ভূমিকম্প ও ভূআলোড়ন হয়।


5। পাত গাঠনিক তত্ত্ব অনুসারে ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি আলোচনা কর।

উত্তর- অভিসারী পাত সীমানায় দুটি মহাদেশীয় পাত পস্পরের দিকে এগোলে, সংঘর্ষের ফলে ভঙ্গিল পর্বতে সৃষ্টি হয়। পাত সঞ্চালন তত্ত্ব অনুসারে ভূত্বক কয়েকটি গতিশীল পাতের সমন্বয়ে গঠিত। এই পাতগুলি ভূগর্ভে গুরুমগুলে অ্যাসথেনোস্ফিয়ারের উপর গতিশীল অবস্থায় থাকে। ভূত্বকের একটি গতিশীল পাত যখন ওপর একটি পাতের মুখোমুখি আসে তখন সেই সংযোগস্থলে প্রবল চাপের সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় গতিশীল দুটি পাতের মধ্যবর্তী অগভীর খাতে সঞ্চিত পলিস্তরে প্রবল পার্শ্বচাপের ফলে ভাঁজ পরে। ক্রমাগত ভাঁজগুলো বড় ও উঁচু হয়ে পরস্পরের কাছে এসে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি করে।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্ন (LA)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৫]

1. মহীখাত তত্ত্ব অনুসারে হিমালয় পর্বতের উৎপত্তি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর- মহীখাত তত্ত্বটির প্রবক্তা হলেন বিজ্ঞানী কোবার। এই তত্ত্ব অনুসারে, বর্তমানে যেখানে হিমালয়ের অবস্থান সেখানে বহু কোটি বছর আগে একটি অগভীর সাগর বা মহীখাত বা জিওসিনক্লাইন ছিল, যার নাম টেথিস সাগর বা টেথিস মহীখাত।টেথিস সাগরের উত্তরে ও দক্ষিণে দুটি প্রাচীন মালভূমি ছিল যথা - উত্তরে আঙ্গারাল্যান্ড ও দক্ষিণে গন্ডোয়ানাল্যান্ড। দুপাশের এই উঁচু ভূভাগ থেকে সেই সময়ে অসংখ্য নদনদী পলি বয়ে এনে টেথিস সাগরকে ক্রমশ ভরাট করে তোলে। ভূতাত্ত্বিক সময় অনুসারে, টারসিয়ারি যুগে অর্থাৎ প্রায় ৭ থেকে ১২ কোটি বছর আগে ভূভাগ দুটি পরস্পরের কাছে চলে আসার ফলে টেথিস সাগরের সঞ্চিত পাললিক শিলাস্তরে প্রচণ্ড পার্শ্বচাপ পরে এবং ভাঁজের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে এই ভাঁজগুলি দৃঢ় ও উঁচু হয়ে সৃষ্টি হয় পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয়।

হিমালয়ের শিলাস্তরে যে সমস্ত জলজ জিবাশ্ম পাওয়া গেছে তাদের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে, মহীখাত তত্ত্ব হিমালয় পর্বতের উৎপত্তিকে ব্যাখ্যা করে থাকে।




No comments:

Post a Comment